ওপেন-যুগে উইম্বলডনে মহিলাদের বিভাগে ট্রফিজয়ের ম্যাচ খেলছেন প্রথম বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে ওঠা দুই খেলোয়াড়, এমন ঘটনা আগে দেখা যায়নি। তবু অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতায় বাজি মেরে দিলেন রিবাকিনা। ফাইনালের মতো ম্যাচে এক সেটে পিছিয়ে পড়ে ফেরত আসা সহজ কাজ নয়। সেটাই অনায়াসে করে দেখালেন রিবাকিনা। এক ঘণ্টা ৪৮ মিনিটেই ফাইনালে জাবেউরকে হারিয়ে কাজাখস্তান তথা এশিয়ার প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে উইম্বলডন ট্রফি জিতলেন তিনি। জাবেউর তৃতীয় বাছাই হিসাবে নামলেও রিবাকিনা নেমেছিলেন ১৭তম বাছাই হয়ে। ফাইনালে সব হিসাব-নিকাশ উল্টে দিলেন তিনি। ফাইনালের মতো ম্যাচে রিবাকিনা এক সেটে পিছিয়েও দারুণ ভাবে লড়াইয়ে ফিরে আসেন। যে কাজ মোটেই সহজ ছিল না। তিন সেটের লড়াইয়ে ৩-৬ পিছিয়ে থেকে দুরন্ত প্রত্যাবর্তনে ৬-২, ৬-২ জিতলেন রিবাকিনা। রিবাকিনা মনে করালেন এমিলি মরেসমোকে। ২০০৬ সালে উইম্বলডন ফাইনালে ২-৬ পিছিয়ে থেকেও জাস্টিন হেনিনের বিরুদ্ধে পরের দুই সেট ৬-৩, ৬-৪ জিতে নিয়েছিলেন ফ্রান্সের খেলোয়াড়।
তবে জাবেউরের কৃতিত্ব কোনও অংশে তাতে খাটো হচ্ছে না। উইম্বলডন ফাইনালে হারের পরেও ২০১১ সাল সম্ভবত ভুলতে পারবেন না তিনি। প্রথম বার কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্রফিতে হাত রেখেছিলেন। তবে সেটি ছিল জুনিয়র গ্র্যান্ড স্ল্যাম। তাঁর দেশ টিউনিশিয়ার কাছেও ২০১১ বছরটা তাৎপর্য্যপূর্ণ। কারণ টিউনিশিয়া থেকেই শুরু হয়েছিল শাসকের বিরুদ্ধে বিপ্লব, গোটা দুনিয়ার কাছে যা পরিচিত ‘আরব বসন্ত’ নামে। এমন দেশ থেকে এসেছেন জাবেউর, যেখানে এখনও মহিলাদের ছোট পোশাক পরা নিষেধ। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করা ছোটবেলা থেকেই তাঁর স্বভাব। তাই কোনও চোখরাঙানি তাঁর এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। এখন তিনি শুধু টিউনিশিয়া নয়, গোটা আফ্রিকা মহাদেশের উঠতি টেনিস খেলোয়াড়দের কাছে অনুপ্রেরণা।অন্যদিকে,