মুম্বই প্রথম ইনিংসে ৩৭৪ রান করে জবাবে মধ্যপ্রদেশ ৫৩৬ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বই ব্যাটিং শুরু করেছে। শনিবার চতুর্থ দিনের শেষে মুম্বই ২ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তুলেছে। ক্রিজে রয়েছেন-আরমান জাফর (৩০) ও সুভেদ পারকর (৯)। আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার রঞ্জি ফাইনালের শেষ দিন। এখন যা পরিস্থিতি তাতে বলাই যায় যে শিরোপা জয়ের গন্ধ পাচ্ছে মধ্যপ্রদেশ। ১৬২ রানে এগিয়ে মধ্যপ্রদেশ। ম্যাচে চালকের আসনে আদিত্য শ্রীবাস্তবার দল চালকের আসনে। অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটে না গেলে চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের ছেলেরা যে রঞ্জি জিততে চলেছে, তা বলাই যায়।
প্রসঙ্গত, তৃতীয় দিনের শেষে মুম্বইয়ের থেকে মাত্র ছয় রানে পিছিয়ে ছিল মধ্যপ্রদেশ। চতুর্থ দিন সকালে তাদের মাত্র ৩.২ ওভার লাগল মুম্বইকে টপকে যেতে। দু’দলের রান সমান থাকা অবস্থায় মুম্বইয়ের বোলার মোহিত অবস্তীর বল কভার অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে দু’রান নেন রজত পাটীদার। মুম্বইয়ের থেকে এগিয়ে যান তাঁরা। লিড নেওয়ার পরে দেখা যায় সাজঘরে মধ্যপ্রদেশের ক্রিকেটাররা হাত মেলাচ্ছেন। যদিও কোচ চন্দ্রকান্ত কোনও উচ্ছ্বাস দেখাননি। তিনি জানেন, ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা। তাই জয় সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে রাজি নন তিনি। তৃতীয় দিন যেখানে শেষ করেছিলেন চতুর্থ দিন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করলেন পাটীদার। মুম্বইয়ের কোনও বোলার তাঁকে সমস্যায় ফেলতে পারেননি। শতরান করেন তিনি। পাটীদারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সারাংশ জৈন। তিনি অর্ধশতরান করেন। শেষ পর্যন্ত ৫৩৬ রানে শেষ হয় মধ্যপ্রদেশের প্রথম ইনিংস। মুম্বইয়ের বোলার শামস মুলানি ৫ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত রান করার চেষ্টা করেন পৃথ্বী শ ও হার্দিক তামোরে। রানের গতি বেশি হলেও বড় রান করতে পারেননি তাঁরা। পৃথ্বী ৪৪ ও তামোরে ২৫ রান করে আউট হন। চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় মুম্বইয়ের রান ২ উইকেটে ১১৩। এখনও ৪৯ রান পিছিয়ে তারা। বাকি পঞ্চম দিনের খেলা। এখন দেখার পঞ্চম দিনের শুরু থেকে মুম্বইয়ের ব্যাটাররা কেমন খেলা শুরু করেন।