নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই যে পুজো শুরু হয়ে যাবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় গত ১ সেপ্টেম্বর বর্ণাঢ্য পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। মহালয়ার আগেই গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে পুজো উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন তিনি। কলকাতার প্রায় সব বড় পুজোর উদ্বোধন হয়ে যাওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় আগেভাগেই মণ্ডপে ভিড় জমাতে দেখা যাচ্ছে দর্শকদের। পঞ্চমীর সকাল থেকেই উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম বড় পুজোগুলোয় ভিড় দেখা গিয়েছে। দর্শনার্থীদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে উত্তরের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, হাতিবাগান সর্বজনীন, কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দের মতো পুজোগুলির মণ্ডপের সামনে। একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক, একডালিয়া, মুদিয়ালি, ত্রিধারার মতো পুজোগুলিতে।
অন্যদিকে, আজই সকালে কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সামিল হন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গে। এরপরই জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা মতো নিজের মনোনয়ন পত্র পেশ করবেন না দিগ্বিজয় সিং। প্রসঙ্গত, গান্ধী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হলেও দিগ্বিজয়কে নিয়ে সংশয় ছিল বহু নেতার মনেই। অনেক ক্ষেত্রেই আলটপকা মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ানো দিগ্বিজয়ের স্বভাব। এই পরিস্থিতিতে সামনে আসে মল্লিকার্জুন খড়গের নাম। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গে গান্ধীদের ‘সমর্থন’ পেয়েছেন বলে গুঞ্জন কংগ্রেসের অন্দরে। এদিন মনোনয়ন পেশ করার আগে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন মল্লিকার্জুন খড়গে। এদিকে মল্লিকার্জুন মনোনয়ন পেশের আগে পবন বনসল, অম্বিকা সোনি, অবিনাশ পাণ্ডে, মণীশ তিওয়ারি, আনন্দ শর্মা, রঘুবীর মীনার মতো তাবড় নেতারা একত্রিত হন। এদিকে ‘গান্ধী সমর্থিত’ প্রার্থী হিসেবে মল্লিকার্জুন খড়গে কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচন জিতলে তাঁর মেয়াদ থাকবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এই আবহে তাঁর সামনে দলকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে খড়গেকে। এর মধ্যে অন্যতম হল ২০২৩ সালের লোকসভা নির্বাচন। এর আগে রাজস্থান, গুজরাট, জম্মু, কর্ণাটক ও কাশ্মীরেও কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে খড়গেকে।