কয়লা-কাণ্ডে ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমন ইডির

A G Bengali
কয়লা-কাণ্ডে ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমন ইডির। আগামী শুক্রবার সকাল ১১টায় তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, দিল্লির ইডি কর্তারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। ‘‘অভিষেককে হয়তো আবার নোটিস পাঠাবে ওরা।’’ সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচি থেকে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক তার পর দিন মঙ্গলবারই সামনে এল এই তথ্য। কেন্দ্রীয় সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘এই তো আজকের সভায় অভিষেক খুব ভাল বক্তৃতা করেছে। এ বার হয়তো আজ অথবা কাল ওকে কোনও সংস্থা নোটিস ধরাবে।’’এ কথা বলেই ক্ষান্ত হননি তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ‘‘অভিষেককে তো আগেও দু’বার নোটিস ধরিয়েছে। এমনকি, নোটিস ধরিয়েছে ওর বউকেও। কিন্তু এ বার তো মনে হয় ওর দু’বছরের ছেলেকেও নোটিস ধরাবে। ওকেও নোটিস ধরিয়ে দেখুক দু’বছরের ছেলেটাও কতটা শক্ত হয়েছে।’’
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে বহু মানুষ যেমন উপকৃত হচ্ছেন তেমনই এনিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে অভিযোগও আসছে বিস্তর। বহু হাসপাতাল ওই কার্ডে রোগীকে পরিষেবা দিতে চায় না। কোথাও নথি তৈরিতে বিরাট ফাঁকফোকর থেকে যাচ্ছে। এনিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল। বুকিং ও ডিসচার্জের নথিতে এবার থেকে থাকতে হবে চিকিত্সকের স্বাক্ষর। স্বাস্থ্য সাথী সমিতি যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পেছনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। সূত্রের খবর, মূলত বেসরকারি হাসপাতালগুলি যখন কোনও রোগীর খরচের ক্লেম করে তখন যে বিল জমা দেওয়া হয় তখন সেই বিলে চিকিত্সকের নাম থাকলেও তাঁর স্বাক্ষর থাকা বাধ্যতামূলক নয়। বেশকিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে কোন প্য়াকেজে রোগী ভর্তি হয়েছেন তা জানেনই না চিকিত্সক। অর্থাত্ কোনও কোনও সময় এমনও হয়েছে যে চিকিত্সক একটি রোগের চিকিত্সা করেছেন অথচ অন্য প্যাকেজের বিল দেওয়া হয়েছে। এই জালিয়াতি রুখতেই বিল ও ডিসচার্জ নথিতে চিকিত্সকের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সমিতি দেখতে চাইছে কোন চিকিত্সক কত বেশি স্বাস্থ্য সাথীর কাজ করছেন। কোনও রোগীর ক্ষেত্রে যদি আইনি সমস্য়া হয় তাহলে তার দেখার জন্যও এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Find Out More:

Related Articles: