গোয়ার বিধানসভা ভোট প্রথমবার লড়েই দাগ কাটতে সক্ষম ঘাসফুল শিবির। কিন্তু তাঁদের চিন্তা বাড়াচ্ছে জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (MGP)। তৃণমূলের হাত ছেড়ে সম্ভবত বিজেপির হাত ধরে সরকার গড়তে চলেছে সৈকত রাজ্যের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলটি। ইতিমধ্যে বিজেপিকে (BJP) সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিন জন জয়ী নির্দল প্রার্থী। একই সঙ্গে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টিকে (MGP) স্বাগত জানিয়েছেন গোয়ার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত (Goa CM Pramod Sawant) এবং দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ (Devendra Fadnavis)। মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা বলেন, "গোয়ার মানুষের আশীর্বাদে আমরা সংখ্য়াগরিষ্ঠতা পেয়েছি। আমার ২০ আসন পাবই, একটা-দুটো বেশিও পেতে পারি। মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদীর উফর ভরসা রেখেছেন। নির্দলরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি আমাদের সমর্থন করবে। আমরাই সরকার গড়ব।"
অন্যদিকে, বিরোধীদের দাবি ছিল, বিজেপি-র শক্ত ঘাঁটি পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে যে সমীকরণের কাঁধে ভর করে বিজেপি-র জয়জয়কার হয়েছিল, সেই ভাগাভাগির রাজনীতিতে লাগাম পরানো গিয়েছে। মূলত যে জাঠ-মুসলিম যুগলবন্দি চুরমার করে দিয়ে গেরুয়া ঢেউ তুলেছিল বিজেপি, কৃষক আন্দোলন তাতে প্রলেপ দেওয়াই শুধু নয়, নতুন করে মজবুত করেছে। বিরোধীদের আরও দাবি ছিল, রাজ্যে বেকারত্ব আর মূল্যবৃদ্ধির জোড়া ফলায় বিদ্ধ হওয়া অবশ্যম্ভাবী বিজেপি-র। পাশাপাশি, বৃদ্ধ গবাদি পশু থেকে ঠাকুর সম্প্রদায়ের রমরমা, কত তিরেরই না নিশানা ছিল উত্তরপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের সরকার। কিন্তু বৃহস্পতিবার গণনা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বোঝা গেল, বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ এবং দাবিদাওয়ার গঙ্গাপ্রাপ্তি কার্যত সময়ের অপেক্ষা। জীবনের প্রথম বিধানসভা ভোটে লড়ে বিপুল ব্যবধানে জয় তো আসছেই, সেই সঙ্গে যোগীই যে উত্তরপ্রদেশের জন্য ‘উপযোগী’— তা-ও কার্যত বুঝিয়ে দিল দেশের বৃহত্তম রাজ্যের আমজনতা।