আগামী মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি বিজেপি-র বিরুদ্ধে প্রচারে যাবেন খোদ প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্র বারাণসীতে। সোমবার সন্ধ্যায় লখনউ পৌঁছন মমতা। মঙ্গলবার দুপুরে অখিলেশকে পাশে নিয়ে বক্তৃতা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমি উত্তরপ্রদেশের ভোটে লড়াই করতে আসিনি। আমি এখানে এসেছি, আমার ভাই অখিলেশকে সমর্থন জানাতে। উত্তরপ্রদেশের মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে জয়ী করুন।’’ সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন, “আমি আবার আসব। ১৫ তারিখে আবারও জনসভা করতে আসব। বারাণসীতে যাব।’’ গত ১৮ জানুয়ারি অখিলেশের দূত হয়ে মমতার সঙ্গে তাঁর কালীঘাটের বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টির সহ-সভাপতি কিরণময় নন্দ। ওই দিনই কিরণময় জানিয়ে দেন, মমতা উত্তরপ্রদেশে দু’দফায় প্রচারে যাবেন। উত্তরপ্রদেশে তাঁর প্রচার নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের ভোটের সময় অখিলেশের হয়ে তৃণমূলের পক্ষে প্রচারে গিয়েছিলেন জয়া বচ্চন ও কিরণময় নন্দ। তাই ভাই অখিলেশের হাত শক্ত করতেই আমি উত্তরপ্রদেশে এসেছি। আবারও তাঁর সমর্থনে প্রচারে আসব।’’
অন্যদিকে, মঙ্গলবার ভারতীয় সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কাশ্মীর উপত্যকার চিনার কর্পসের ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম পেজগুলি এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ব্লক করা হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ আছে। যদিও মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সেনা বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এই ঘটনার কোনও কারণ জানানো হয়নি। জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর-স্থিত ১৫ নম্বর কোর (‘চিনার কোর’ নামে পরিচিত) ভারতীয় সেনার উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনস্থ। নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) নজরদারির পাশাপাশি কাশ্মীর উপত্যকার সন্ত্রাস দমনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে এই কোরের হাতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই সব অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, সীমান্তপারের অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার জন্য। এখন, সেই অ্যাকাউন্টই ব্লক থাকায় ভারত বিরোধী শক্তির হাত পোক্ত হবে বলেই মনে করছেন সেনাকর্তারা।