চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে কোনও স্থায়ী বিচারপতি ছিলেন না। এই পর্বে হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন রাজেশ বিন্দল। তিনি সম্প্রতি এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন। ফলে তাঁর শূন্যস্থানে কলকাতা হাই কোর্টে আনা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের বর্ষীয়ান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবকে। এদিন প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।
অন্যদিকে, রুজিরার আবেদনের ভিত্তিতে আজ দিল্লি হাইকোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, ইডির সমন অনুযায়ী সশরীরে রুজিরাকে পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজিরা দিতে হবে না। তবে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে পারবেন।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে তদন্তে বারবার জেরা এড়াচ্ছেন রুজিরা। এমন অভিযোগ নিয়ে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। সেই মামলায় রুজিরাকে আগামী ১২ অক্টোবর সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। গত ৬ অক্টোবর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন রুজিরা। তাঁর বক্তব্য ছিল, আইন অনুযায়ী আউট অব স্টেশন থেকে কোনও মহিলাকে যদি তলব করতে হয় তাহলে তার আগে এনকোয়ারির করা প্রয়োজন। বর্তমানে তিনি দিল্লির বাইরে থাকেন। তাই কোভিড পরিস্থিতিতে তাঁকে তলবের আগে এনিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। পাশাপাশি রুজিরা আরও জানান, এর আগে তাঁকে যে তলব করা হয়েছিলা তা তিনি অমান্য করেননি। প্রত্যেকবারই তিনি মেল বা অন্য কোনও ভাবে যোগাযোগ করেছেন বা সমনের উত্তর দিয়েছেন।