মেট্রো রেল চালু হতে চলেছে বাংলাদেশে। আগামী বছর ডিসেম্বরে ঢাকায় মেট্রো রেল শুরুর কাজ হবে। কলকাতায় পাতালপথে ট্রেল চলেছিল ১৯৮৪ সালের অক্টোবর, আর কলকাতা ৩৮ বছর পর ঢাকায় মেট্রো শুরুর কাজ হবে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ঢাকায় মেট্রো রেলের নির্মাণকাজ শুরু হবে। সবার আগে বানানো হবে ডিপো। তারপর পর্যায়ক্রমে পাতাল রেলের পথ, স্টেশন-সহ অন্যান্য কাঠমো নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ২০২৬ সালে পাতাল রেলে যাত্রী পরিবহণ শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর তা তৈরি হলে প্রতিদিন প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন।
আসুন দেখে নেওয়া যাক অজানা তথ্যে বাংলাদেশের মেট্রো রেল-
১. ঢাকার মেট্রো রেলস্টেশন তিন তলা হবে। দ্বিতীয় তলায় টিকিট কাউন্টার। দ্বিতীয় তলা থেকে টিকিট সংগ্রহ করে চলন্ত সিঁড়িতে তৃতীয় তলায় যাবেন। সেখানে যাত্রীদের বসার চেয়ার থাকবে। ট্রেন স্টেশনে এলে উঠবেন যাত্রীরা।
২) ঢাকায় পাতাল রেলের জন্য ২৫টি ট্রেন কেনা হবে। প্রতিটি ট্রেনে আটটি করে কোচ থাকবে। একেকটি ট্রেনে একসঙ্গে ৩ হাজার ৮৮ যাত্রী পরিবহণ করা যাবে।
৩) রেললাইনটি নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। পুরো লাইনটি দিয়ে প্রতিদিন ৮ লক্ষ যাত্রী পরিবহণ করা সম্ভব হবে।
৪) বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালনাধীন ট্রেনে উঠতে সিঁড়ির প্রয়োজন হলেও মেট্রো ট্রেনে উঠতে সিঁড়ি লাগবে না। মেট্রো রেলস্টেশনের প্লাটফর্ম সমতল হওয়ায় যাত্রীরা প্লাটফর্ম থেকেই ট্রেনে উঠতে পারবেন।
৫) বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে এর মেট্রো রেলের কোন সম্পর্ক নাই। এটি সম্পূর্ন নতুন একটি প্রতিষ্ঠান। যার প্রকৌশলী থেকে শুরু করে কর্মচারী পর্যন্ত সবাই নতুন ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।
৬) এটি জাপানের কাওয়াসাকি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ এ তৈরী। উদ্বোধনের পর থেকে ৫ বছর জাপানিজ ও দেশীয় টেকনিশিয়ানদের যৌথ তত্বাবধানে থাকবে।
৭) ট্রেনের সকল গ্লাস বুলেট প্রুফ ( JR standard )। তাই ইট ছোঁড়া, হাতুড়ি পেটালেও মেট্রোর কাঁচ ভাঙার সম্ভাবনা নেই। Dedicated power supply থাকবে। যেটা সাধারণত গন ভবন বা বঙ্গভবন বা সেনা সদর এ থাকে । গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনা বিধায় , এর Backup power supply এর জন নিজস্ব পাওয়ার সাপ্লাই রয়েছে।
৮) একেকটি ট্রেনে একসঙ্গে ৩ হাজার ৮৮ যাত্রী পরিবহণ করা যাবে। স্বয়ংক্রিয় টিকিটির( Card System)ব্যবস্থা থাকছে।
৯) বাংলাদেশের ট্রেনের ছাদে ওঠার স্বংস্কৃতিতে যারা বিশ্বাস করেন, তারা সাবধান ...11 KV হাই ভোল্টেজ থাকছে মেট্রোর ছাদে।
১০) ভাংচুর , সিট কাটা থেকে শিক্ষা নিয়ে , ট্রেনের সিট গুলো শক্ত প্লাস্টিকের তৈরী, যেগুলো হেভি টেম্পারড প্রযুক্তি দিয়ে তৈরী।