শহিদ দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বললেন
২১শের মঞ্চ থেকে ফের খেলার ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী। ২০২৪-কে সামনে রেখে এবার খেলা হবে জাতীয়স্তরে। সাফ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ মঞ্চে বিজেপি দেশব্যাপী সব বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ফ্রন্ট গড়ার আহ্বান জানান তৃণমূল নেত্রী। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেছেন, ‘২রা মে একটা খেলা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের রেজাল্ট বিজেপি দেখতে পেয়েছে। আবার খেলা হবে। যতদিন বিজেপিকে ভারতবর্ষ থেকে আমরা বিতাড়িত না করতে পারছি, ততদিন রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে। বুথে বুথে খেলা হবে। সমস্ত জায়গায় খেলা হবে।’
এবারের ২১ জুলাই ভার্চুয়াল হলেও তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য জাতীয় স্তরে পৌঁছনই ছিল মূল লক্ষ্য। তাই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক যোগে হিন্দি, ইংরেজি ও বাংলায় বক্তব্য রেখেছেন। তাঁর বক্তব্যের লক্ষ্যও ছিল জাতীয় রাজনীতি। আগামী ২০২৪-এ লোকসভার নির্বাচন। এদিন মমতা বলেন, “এখনও আড়াই বছর বাকি আছে। তাড়াহুড়ো করলেও হবে না, আবার নির্বাচনের সময় জোট বাঁধলেও হবে না। এক একটা দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আসুন আমরা জোট গড়ি। ভারতকে পথ দেখাই। দেশকে রোশনি দেখানো জরুরি। আমি একজন কর্মী হিসাবেই কাজ করব। আপনারা যেমন পরামর্শ দেবেন সেভাবেই কাজ করব।”
পাশপাশি, গুজরাট নয় বাংলাই মডেল বলে তাঁর প্রতিশ্রুতি, ফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে গোটা দেশে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। বাংলায় উন্নয়নের জন্যেই মানুষ তৃণমূলকে বেছে নিয়েছে বলে দাবি করেন মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়,'তৃণমূল মানেই উন্নয়ন। সুশাসনের কোনও বিকল্প নেই। লোকে উন্নয়ন চায়। একতা চায়। আপনি ধ্বংস, হিংসা, পক্ষপাতিত্বমূলক রাজনীতি ও সমাজে বিভাজন চান। আমরা চাই না। আমরা রবীন্দ্রনাথের মাটির লোক। তিনি বলেছেন, চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির। আপনি শুধু নিজের পার্টিকে নিয়ে ভাবিত। এই মডেল চায় না ভারত। দেশ চায় উন্নয়ন,ঐক্য, আর্থিক উন্নতি ও শিল্প। কৃষক, দলিত, তপশিলী জাতি-উপজাতি ও সংখ্যালঘুদের জন্য আপনি কিচ্ছু করতে পারেননি। যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করেন তাঁদের আপনারা বাধা দেন।'
এ দিন ভাষণের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত বিজেপি বিরোধী শক্তিশালী জোট গঠনের পক্ষে সওয়াল করে গিয়েছেন মমতা। তাঁর অভিমত,'একসঙ্গে কাজ করার জন্য ফ্রন্ট তৈরি করুন। এখন থেকে পরিকল্পনা করুন। মৃত্যুর পর ডাক্তার এলে কিছু হয় না। রোগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্দোবস্ত বা চিকিৎসা করালে রোগী সুস্থ হন। এখন আপনাদের কাছে সময় রয়েছে। যত সময় নষ্ট করবেন, তত নষ্ট হবে। পরের সপ্তাহে ২-৩ দিনের জন্য আমি দিল্লি যাব। সংসদ চললে সকলের সঙ্গে দেখা হয়। দু'বছর যেতে পারিনি। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে দেখা করব। শরদজি আছেন, চিদম্বরমজি আছেন। আপনারা যদি মিটিং করতে চান ২৭, ২৮, ২৯ তারিখ আমি তিনদিন থাকব। এই ৩ দিনের মধ্যে বৈঠক করতে পারলে আমরা কথা বলতে পারি।'