করোনার প্রভাব রাজকোষেও

frame করোনার প্রভাব রাজকোষেও

Biswas Riya

যদিও এক সপ্তাহ আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলাতে সরকার তৈরি। দরকার পড়লেই মাঠে নেমে পড়বে।কিন্তু কার্যত দেখা গেল অন্য চিত্র। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া যাবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শেয়ার বাজারে ধসের ফলে বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রাও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সীতারামনের অর্থ মন্ত্রক এখনও কোনও পদক্ষেপ করে উঠতে পারেনি। উল্টে মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, অর্থনীতির ঝিমুনি কেটে যাওয়ার আশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের ধাক্কায় ক্রমশ যে ভাবে অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছে, তাতে মন্দার মেঘ জমছে। 

 

 

শিল্পোৎপাদনের সূচক বলছে জানুয়ারি মাসে শিল্পোৎপাদন মাত্র ২% বেড়েছে। এর মধ্যে কারখানার উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ১.৫% হারে। গত বছরের অক্টোবর থেকে শিল্পোৎপাদন টানা তিন মাস কমেছিল। তার পরে নভেম্বরে তা ১.৮% বাড়ে। ডিসেম্বরে বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ০.১%। চিন্তার কথা হল, জানুয়ারিতে কারখানার উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ১.৫%। যার অর্থ, বাজারে চাহিদা নেই। মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩.১% ও খনিতে উৎপাদন ৪.৪% বেড়েছে বলেই শিল্পোৎপাদন ২% বেড়েছে।

 

সর্বপ্রথম চিন্তার বিষয় করোনার ধাক্কায় রাজস্ব আয় কমা। ফলে চলতি বছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছোঁয়া মুশকিল হবে। এমনিতেই আর্থিক বৃদ্ধির হার তলানিতে। বাজারে চাহিদা নেই বলে কারখানার উৎপাদন বাড়ছে না। আজ সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৬.৫৮% ছিল। জানুয়ারির ৭.৫৯%-র তুলনায় কম হলেও এখনও তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৪%-র মধ্যে মূল্যবৃদ্ধিকে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রার অনেক বাইরে।

 

 

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন ‘‘শেয়ার বাজারে যা হচ্ছে, তাতে লক্ষ লোকের লোকসান হচ্ছে। কিছু দিন ধরেই বলছি, করোনাভাইরাসের সমস্যা গুরুতর। অথচ সরকারের যা পদক্ষেপ করার ছিল, করেনি। নরেন্দ্র মোদীর নীতি ও আদর্শ, ভারতের শক্তি অর্থনীতিকে নষ্ট করে দিচ্ছে। অর্থনীতি নিয়ে একটিও শব্দ বলতে পারছেন না মোদী। সীতারামন বিশেষ বোঝেন না, বলতেও পারেন না।’’ 

 

 

 

 

Find Out More:

Related Articles: