আগামী কালই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন উদ্ধব ঠাকরে , শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মোদী-শাহ-মমতা কেজরিওয়াল সহ বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীরাও, শপথ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না সোনিয়া -রাহুল

Akash Paramanik

গত ২৪ অক্টোবর মহারাষ্ট্র বিধানসভার ফল ঘোষনার দিন থেকেই বাংলার জনরব দাবি করছিল সরকার গড়বে শিবসেনা। কার্যত সেই দাবিই মান্যতা পেতে চলেছে । গতকাল পর্যন্ত ঠিক ছিল রবিবার ১ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন শিবসেনার নেতা উদ্ধব ঠাকরে । বুধবার রাজ্যপালের সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয় , আগামী কাল বৃহস্পতিবারই শিবাজি পার্কে শপথ নেবেন উদ্ধব ঠাকরে ।
শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারী। এই মহা-শপথের মঞ্চে কারা থাকবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। আগামিকাল সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটে মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে উদ্ধবের ওই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী , অমিত শাহ , মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় , অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ বিরোধী দলের নেতাদের । আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী , সাংসদ রাহুল গান্ধীকে । তবে জানা গেছে , সোনিয়া –রাহুল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন না ।

আদর্শগত ভাবে প্রায় বিপরীত মেরুর দুই দলের এক ছাতার তলায় আসার প্রশ্নে কংগ্রেস সভানেত্রীর সবুজ সঙ্কেত ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই মঙ্গলবার জোটের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমেই সনিয়া গাঁধীকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে।

কিন্তু সেই সনিয়া গাঁধীই থাকছেন না শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। আবার রাহুল গাঁধী গোটা এই পর্বে নিজেকে মহারাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্নই রেখেছিলেন। সংসদে ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ মন্তব্য করা ছাড়া আর কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির মুখে। কংগ্রেস নেতৃত্ব সূত্রে খবর, তিনিও থাকছেন না শপথে। যদিও কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল জানিয়েছেন, সনিয়া-রাহুল দু’জনেই আমন্ত্রণের চিঠি পেয়েছেন।
কিন্তু বিজেপিকে লজ্জার মুখে ফেলে এত বড় জয়ের পরেও কেন গরহাজির থাকছেন সনিয়া-রাহুল? দলের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি কেউ। রাজনৈতিক মহলের একাংশ অবশ্য জল্পনা উস্কে দিয়েছেন, শিবসেনার সঙ্গে সহাবস্থানের অস্বস্তি এড়াতেই কি শপথের মঞ্চে যাচ্ছেন না সনিয়া-রাহুল?
অন্য আমন্ত্রিতদের মধ্যে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা রয়েছেন। এ ছাড়া আমন্ত্রণপত্র কলকাতা ও দিল্লিতেও। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু, ডিএমকে নেতা এম কে স্টালিনকেও পাঠানো হয়েছে আমন্ত্রণপত্র। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অরবিন্দ কেজরীবাল বা চন্দ্রবাবু শপথে থাকছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Find Out More:

Related Articles: