ভয়াবহ দূষণের কবলে রাজধানী দিল্লি ; বন্ধ স্কুল –কলেজ চালু হল জোড় –বিজোড় ফর্মূলা , কেন্দ্র সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি কেরজিওয়ালের

Paramanik Akash
দেশের রাজধানী দিল্লি এখন ভয়াবহ দূষণের কবলে পড়েছে । এমনিতে নাক-চোখ দূষণের কারণে জ্বালা করছিল এবার কাল হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি । মনে করা হচ্ছিল বৃষ্টি হলে দূষণের মাত্রা কম হতে পারে । কিন্ত দেখা শনিবার বৃষ্টি হওয়ার পর দিল্লির পরিবেশ একটু বদলায়নি । বরং আরও গাঢ় হয়েছে ধোঁয়াশা। দমবন্ধ করা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে সর্বত্র।  বাওয়ানা, জাহাঙ্গিরপুর, রোহিণী, সোনিয়া বিহার, শাহদরা, ওখলা, মেজর ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়াম, আনন্দ বিহার, পাঞ্জাবি বাগ, পুসা, মন্দির মার্গ, মুন্ডকা, শ্রীনিবাসপুরি এবং জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৯৯৯ ছাড়িয়েছে। একিউআই ৯০০ ছাড়িয়েছে আরও বেশ কিছু এলাকায়।
একিউআই ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকূল বলে ধরা হয়। দু’দিন আগেই রাজধানীর একিউআই তা ছাপিয়ে ৬০০ ছুঁয়েছিল। সেই তুলনায় এ দিন সকালে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছিল। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ দিল্লির একিউআই ছিল ৪৪৭। কিন্তু বেলা বাড়তেই ফের আঁধার ঘনিয়ে আসে। সকাল ১০টায় একিউআই পৌঁছে যায় ৬২৫-এ। তার পরই একাধিক জায়গায় একিউআই ৯০০ ছাড়িয়ে যায়। এর আগে দিল্লিতে এমন ‘জরুরি’ পরিস্থিতি দেখা যায়নি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আরও কয়েক দিন স্কুল বন্ধ রাখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ দিন কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হন কেজরীওয়ালে। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘উত্তর ভারতে দূষণ অসহ্যকর পর্যায়ে পৌঁছেছে। দিল্লি সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে। বিনা অপরাধে অনেক মাসুল দিয়েছেন দিল্লিবাসী। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সাধারণ মানুষকে এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই দিতে অবিলম্বে এ নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত কেন্দ্রের। এ ব্যাপারে আমরা তাদের সর্বতো ভাবে সাহায্য করব।’’
দিল্লির দূষণের জন্য শুরু থেকেই পড়শি দুই রাজ্য, পঞ্জাব এবং হরিয়ানাকে দায়ী করে এসেছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। সরকারি মদতে লাগাতার ফসলের গোড়া পোড়ানোতেই রাজধানী ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। গতকাল আবার কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকরকে তীব্র আক্রমণ করেন তাঁর ডেপুটি মণীশ সিসৌদিয়া। তিনি জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে পরিবেশ নিয়ে আলোচনায় বসার কথা ছিল রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রীদের। কিন্তু নানা বাহানায় প্রতিবারই সেই বৈঠক স্থগিত রেখেছেন জাভরেকর।


Find Out More:

Related Articles: