শোভনের তৃনমূলে প্রত্যাবর্তন?
গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে হাজির হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ভাইফোঁটা দিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কাজে ফিরতে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই আগামী ৭ নভেম্বরের দলীয় বৈঠকে শোভনের সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। দলীয় বিধায়কদের ওই বৈঠকে তৃণমূলের উৎসব-পরবর্তী কর্মসূচি স্পষ্ট করে দেবেন তৃণমূলনেত্রী। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার বলেন, ‘‘এ নিয়ে জল্পনার প্রয়োজন নেই। এ ব্যাপারে কিছু বলার থাকলে দলের তরফে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
গত নভেম্বরে মেয়র ও মন্ত্রীর পদ ছেড়ে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন শোভন। শুধু তাই নয়, গত অগস্টে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তবে কালীঘাটে মমতার বাড়িতে গিয়ে ভাইফোঁটা নেওয়ায় তাঁদের প্রত্যাবর্তন একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তাই আগামী ৭ তারিখের দলীয় বৈঠকে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে তাই আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
মেয়র বা মন্ত্রী না থাকলেও শোভন এখনও তৃণমূলের বিধায়ক ও কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর। ফলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। তাই বিধায়কদের এই বৈঠকে ডাকা হতে পারে তাঁকেও। আগামী বছরেই রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার সঙ্গে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। সেদিক থেকে দলের যে সাংগঠনিক প্রস্তুতি তার সঙ্গেও তিনি যুক্ত হতে পারেন বলে মনে করছেন দলের একাংশ।
এদিনও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘শোভন তৃণমূলে যাচ্ছেন কি না, ওঁকেই জিজ্ঞেস করুন।’’