বিএসএনএলের বা ভারত সঞ্চার নিগমের সঙ্গে মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেড মিশে যাচ্ছে । বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই খবর জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। একই সঙ্গে দুই সংস্থাতেই স্বেচ্ছাবসরের সিদ্ধান্তেও সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই দুই সিদ্ধান্তে কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। তবে বিএসএনএল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, মন্ত্রিসভার ঘোষণার পর সেই শঙ্কা কাটল বলেই মনে করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরেই লোকসানে চলছে এমটিএনএল। প্রায় একই অবস্থা বিএসএনএল-এরও। সম্প্রতি বিএসএনএল-এ কর্মীদের বেতন নিয়েও সঙ্কট দেখা দেয়। এমনকি, সংস্থা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা নিয়েও গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল নানা মহলে। এই প্রেক্ষিতেই বুধবার দুই সংস্থার সংযুক্তিকরণে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিল মন্ত্রিসভা। সংযুক্তিকরণের জন্য পদ্ধতিগত ও আইনগত দিক-সহ যাবতীয় বিষয় দেখভালের জন্য একটি মন্ত্রিগোষ্ঠি গঠন করা হচ্ছে। তাঁরাই বিষয়টি তদারকি করবেন এবং কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেবেন।
অন্য দিকে দুই সংস্থাতেই কর্মীদের স্বেচ্ছাবসরেও সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্র। বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে রবিশঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিকদের জানান, খুব শীঘ্রই স্বেচ্ছাবসরের প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। তাঁর আশা কর্মীরাও সেই সিদ্ধান্তে খুশি হবেন এবং সহযোগিতা করবেন।
রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, দুই সংস্থার পুনরুজ্জীবনে বাজারে বন্ড বিক্রি করে ১৫ হাজার কোটি টাকা তোলা হবে। এ ছাড়া দুই সংস্থার হাতে থাকা অব্যবহৃত জমি বিক্রি করে উঠতে পারে ৩৮ হাজার কোটি টাকা, মনে করছে মন্ত্রিসভা।
বিএসএনএল-এমটিএনএল-এ কর্মীদের মাইনে দিতেই প্রায় ৭৫ শতাংশ টাকা খরচ হয়। অথচ বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি অনেক কম কর্মী নিয়েও ভাল পরিষেবা দেয় বলে টেলিকম শিল্প মহলের মত। এই বিষয়টিও এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আর এই বিষয়টি মাথায় রেখেই কর্মীদের স্বেচ্ছাবসরের প্রকল্প নিয়ে আসছে কেন্দ্র। তাতে কর্মীসংখ্যা কমলে খরচ অনেকটাই কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।