প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে উইঘুর মুসলিমদের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল চিন সরকার । এই খবর আন্তর্জাতিক মহলকেও ভাবাচ্ছে । তাই আমেরিকা সরকার চিনের ২৯ টি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে । এবার এক সমীক্ষক সংস্থা জানিয়েছে চিনা কমিউনিষ্ট পার্টি সে দেশের ১০ কোটি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য জেনে গেছে । কারল মোবাইল বা সেলফোনে থাকা একটি অ্যাপকে কাজে লাগিয়ে নাগরিকদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে সেদেশের সরকার ।
কলকাতা থেকে প্রকাশিত ডিজিটাল আনন্দবাজারে খবর অনুযায়ী চিনে সরকারি কাজ, পরিষেবার প্রচারমূলক মেসেজ অ্যাপের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের সেলফোনে পাঠানো হচ্ছে। আর সম্ভবত সেই অ্যাপের মাধ্যমেই চিনের সেলফোন গ্রাহকদের যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য ও গতিবিধির উপর গোপনে নজরদারি চালাচ্ছে বেজিং। হালে হদিশ মেলা প্রচারমূলক অ্যাপের একটি ‘কোড’-ই এই সন্দেহকে জোরালো করে তুলেছে।
সেলফোন গ্রাহকদের যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য, তাঁদের সঙ্গে যাঁদের মেসেজ ও ফোটো চালাচালি হয়, তাঁদেরও সব তথ্য ও ইন্টারনেটে তাঁরা কাকে কাকে ‘মেল’ পাঠাচ্ছেন, ‘ব্রাউজ’ করে কাকে কাকে বা কী কী খুঁজছেন, তার সব খুঁটিনাটি চিনা কমিউনিস্ট পার্টি জেনে যাচ্ছে প্রচারমূলক অ্যাপের সেই কোডের মাধ্যমেই। এমনকী, কোনও সেলফোনের অডিও রেকর্ডারটিকেও গোপনে চালু করে দিতে পারে কোডটি।
এ ব্যাপারে গবেষণা চালিয়েছে যে সংস্থাটি তার নাম- ‘ওপ্ন টেকনোলজি ফান্ড’। মার্কিন প্রশাসনের অর্থানুকুল্যে চলা সেই সংস্থাটি রয়েছে ‘রেডিও ফ্রি এশিয়া’র অধীনে। সংস্থার প্রযুক্তি বিভাগের অধিকর্তা সারা আউন বলেছেন, ‘‘চিনা কমিউনিস্ট পার্টি এই ভাবে কম করে দেশের ১০ কোটি সেলফোন গ্রাহকদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে। নাগরিকদের প্রাত্যহিক জীবনের উপর সেই গোপন নজরদারি উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।’’
এ বছরের জানুয়ারিতেই চিনা কমিউনিস্ট পার্টি অ্যাপটি চালু করেছিল। তার নাম- ‘স্টাডি দ্য গ্রেট নেশন’। চিনা ভাষায় ‘স্টাডি’কে বলা হয় ‘শুয়েক্সি’। যা চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর পারিবারিক নাম। তাই ইংরেজি শব্দটাই ব্যবহার করা হয়েছে।
মূলত চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর বিভিন্ন কাজকর্ম ও মতাদর্শ নিয়েই বিভিন্ন রকমের খবর ও ভিডিয়ো সেলফোন গ্রাহকদের পাঠানো হয় সেই প্রচারমূলক অ্যাপ-টির মাধ্যমে। বিভিন্ন নিবন্ধ পড়ে মতামত দেওয়ার জন্য সেই অ্যাপের পাঠকদের পুরস্কৃতও করা হয়। সেই অ্যাপ ডাউনলোড করা যায় ‘অ্যাপল’, ‘অ্যান্ড্রয়েড’, সব ধরনের স্মার্টফোনেই।