রাজ্যের সরকার তৃণমূলের বিবৃতিতে ভুল তথ্য রয়েছে, বিবৃতি দিয়ে জানালেন রাজ্যপাল। আর এতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে বিক্ষোভের ঘটনায় রাজ্যপালের ভূমিকা প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্যের তৃণমূল সরকার।
তবে এদিন রাজভবনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভুল তথ্য সম্বলিত বিবৃতি দিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রাজভবনের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে রাজ্য পুলিসের ডিজি ও মুখ্য সচিবের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। কিন্তু, তারপরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় রাজ্যপাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকালের ঘটনার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিবৃতি দিয়ে জানান, রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধারে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। যাদবপুর যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সেই মুহূর্তে তাঁকে সেখানে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, কিছুটা সময় দিন, আমরা সামলে নেব। তবে এরপরেই তোলপাড় শুরু রাজ্য রাজনীতিতে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হিংসাত্মক ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন তাঁরা। তাঁদের মতে, বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অংশগ্রহণ ও ভাষণকে কেন্দ্র করে যে ভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস, তাতে তাঁরা চিন্তিত-ভীত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে ভাবে একটি আপাতনিরীহ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রবল তাণ্ডব-হিংসাত্মক ঘটনায় পরিণত হয়েছে, তা নিয়েও চিন্তার ভাঁজ তাঁদের কপালে।
একই সঙ্গে পড়ুয়াদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের সহিংস আচরণেও স্তম্ভিত তাঁরা। পড়ুয়াদের মারধরের ঘটনাকে অশনিসংকেত বলে অভিহিত করেছে ওই বিশিষ্টরা। সেই সঙ্গে প্রতিবাদীদের পদক্ষেপ আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল বলেও মনে করেন তাঁরা। ক্যাম্পাসের শান্তি বজায় রাখার আবেদন করা ছাড়াও এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের কাছে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত-সহ দোষীদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই বিশিষ্টরা।