রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মারার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পেলেন প্রাক্তন সিপিএম নেতা লালু আলম ।

Paramanik Akash
বাংলার রাজনীতি আঙিনায় বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক দিন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে । এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মারার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পেলেন প্রাক্তন সিপিএম নেতা লালু আলম । আজ উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে তাঁকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত ।
উল্লেখ্য ,১৯৯০-এর ১৬ অগস্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন যুব কংগ্রেস নেত্রী।  ওই দিনও তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল হাজরা মোড়ে। অভিযোগ, সেই সময় কয়েক জন তাঁর উপর চড়াও হন লাঠিসোটা নিয়ে। লাঠির আঘাতে মাথা ফাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই আঘাতের জেরে দীর্ঘ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় তাঁকে।
‘হামলা’র মূল পাণ্ডা হিসাবে উঠে আসে তালতলার বাসিন্দা লালু আলমের নাম। কলকাতা পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে। লালু আলম-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা দেয় তারা। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে ওই মামলার চার্জ গঠন থেকে শুরু করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে কেটে যায় বহু বছর।
গত বছর সেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দেখা যায় লালু আলম ছাড়া ওই মামলায় যাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল তাঁরা হয় পলাতক নয়তো মৃত। সরকার পক্ষের আইনজীবী মামলার অধিকাংশ সাক্ষীকেই হাজির করাতে পারেননি বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন। এই মামলায় আইনগত দিক থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষ্য। ঠিক হয়েছিল, ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিকাঠামোর অভাবে সেই সাক্ষ্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
ফলে এ দিন রায় শোনানোর সময় আলিপুর আদালতের বিচারক পুষ্পল শতপথী বলেন,‘‘যা তথ্য-প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়েছে, তা থেকে ওই হামলায় লালু আলম প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত এমনটা প্রমাণিত হয় না।” তিনি প্রমাণের অভাবের কথা উল্লেখ করে লালুকে বেকসুর খালাস করা হল বলে ঘোষণা করেন।সরকার পক্ষের আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন,‘‘আমরা অনেক দিন আগেই আদালতে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলাম যে, আমাদের কাছে নতুন কোনও সাক্ষ্য বা তথ্য নেই।”
প্রায় তিন দশক পর নির্দোষ প্রমানিত হওয়ার পর খুব খুশি লালু। তিনি এ দিন আদালতে ছিলেন। খালাস পাওয়ার পর লালু বলেন,‘‘আরও আগে এই মামলার নিষ্পত্তি হলে আরও ভাল লাগত।” তিনি এ দিন জানান, রাজনীতির সঙ্গে তাঁর আর কোনও যোগ নেই।


Find Out More:

Related Articles: