বিএসএনএল ও রেলের পর এবার কোপ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ওপর। স্বাধীনতার পর এই প্রথম কয়েকটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে বেতনের টাকা দেয়নি ইউজিসি। মাসের এক তারিখ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে ইউজিসির থেকে টাকা না আসায় তারা অধ্যাপক ও কর্মীদের বেতন দিতে অপারগ। অন্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় যথা জামিয়া মিলিয়া, ত্রিপুরা ও জম্মু তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙ্গে বেতন দিয়েছে। বিশ্বভারতীর যা টাকা জমা আছে তা দিয়ে আর কয়েক মাসের বেতন হবে। তারপর কি হবে কেউ জানেনা। বিশ্বভারতীর পিএইচডির ছাত্ররা তাদের ন্যায্য ফেলোশিপ পাচ্ছেনা। এই নিয়ে ইউজিসিকে অভিযোগ জানালে ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে ফেলোশিপ দিতে (নিচে দিলাম), অথচ টাকা দেয়নি। ২০১৭-১৯ র ছাত্র ছাত্রীরা তাদের ফাইনাল সেমেস্টার দিয়ে দিল, এখনও পি জি ইন্দিরা গান্ধী সিঙ্গল গার্ল চাইল্ড এবং Rank holder স্কলারশিপের একটি পয়সাও পায়নি।বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বলা হচ্ছে নিজের পয়সা নিজে তোল। ছাত্রদের ফি বাড়াও। আর সুদের বিনিময়ে ঋণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালাও। এই নিয়ে কানাড়া ব্যাঙ্কের সঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের যৌথ সহযোগিতায় হায়ার এডুকেশন ফান্ডিং এজেন্সি (হেফা) তৈরী হয়েছে, ইউজিসির সব অনুদান বন্ধ করে সুদের বিনিময়ে হেফা থেকে ঋণ নিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাধ্য করা হবে। সুদ ফেরৎ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ছাত্রদের ফি বাড়াতে বাধ্য করা হবে।