সাজা কমল ছত্রধর মাহাতোর, আর বেকসুর হলেন এঁরা

GHOSH ARPAN

শালবণী বিষ্ফোরণ কাণ্ডে মুক্তি মিলল না একদা জঙ্গলমহলের জনসাধারণ কমিটির প্রধান ছত্রধর মাহাতোর। তবে সাজা কমাল হাইকোর্ট। যাবজ্জীবনের পরিবর্তে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর ছত্রধরের মতোই ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে শাগুন মূর্মু, সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভ‍ু সোরেনকে। তবে বিচারপতি মুমতাজ খান ও বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ বিষ্ফোরণে সরাসরি যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণ না মেলাও বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে রাজা সরখেল ও প্রসুন চট্টোপাধ্যায়কে।

 

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে গ্রেফতার করা হয় একদা জঙ্গলমহলের জনসাধারণ কমিটির প্রধান ছত্রধর মাহাতোকে। আর ২০১৫ সালে মে মাসে মেদিনীপুরের দায়রা আদালত ছত্রধরকে যাবজ্জীবন কারদণ্ডের নির্দেশ দেয়।   

 

অন্যদিকে, ২০১৫ সালে চার্জশিটে প্রথম জহিরুল শেখের নাম উল্লেখ করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। অবশেষে ইনদোরে এনআইএর হাতে পাকড়াও হলো খাগড়াগড় বিষ্ফোরণ কাণ্ডের মোস্ট ওয়ান্ডেট জেএমবি জঙ্গি জহিরুল শেখ। জেএমবির বর্ধমান মডিউলের অন্যতম ছিল। নদিয়ার থানের পাড়ার বাসিন্দা ছিল এই জেএমবি জঙ্গিয সিমুলিয়া মাদ্রাসা সে থাকত। এবং সিমুলিয়া মাদ্রাসা থেকে যে কমলা রঙের গাড়ি পাওয়া গিয়েছিল সেটা জহিরুলের বলেই অনুমান গোয়েন্দাদের। এই গাড়ি করেই সে বিষ্ফোরকের মশলা, অস্ত্র মুর্শিদাবাদের মুমিকমগর, বেলডাঙা সব ভিভিন্ন ডেরায় পৌঁছে দিত বলে গোয়ন্দাদের অনুমান। জহিরুলকে গ্রেফতার গোয়েন্দাদের কাছে বিগ ক্যাচ বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে যে ক’জনের নামে এনআই এ চার্জশিট দিয়েছিল তার মধ্যে ৩৩ জন তাদের হেফাজতে রয়েছে। শুধু সালাউদ্দিন সালেহিন ওরফে বড়ভাই এখনও ধরা পড়েনি। ইনদোরে আদালতে জহিরুল শেখরে আদালতে তোলা হলে আদালত ট্রানজিট রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এনআইএ তাকে কলকাতায় নিয়ে আসবে।

 


Find Out More:

Related Articles: