খোলামেলা অর্পিতা

Biswas Riya

দিল্লি থেকে ফিরে পরপর বাংলা ছবি করার কথা জানালেন “বাংলা ছবি করব না, এমনটা কখনও ভাবিনি কিন্তু। দিল্লির কোম্পানি সেট-আপ করতে প্রচুর এফর্ট দিতে হয়েছিল। সেই সময়ে এখানে ফিজ়িক্যালি থাকতে না পারায় একটা গ্যাপ তো হয়েছেই। অনেকে বলতেন, কোনও ছবিতে আমার কথা  ভাবলেও আমি এখানে না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। তবে টলিউডে কাজ করা হচ্ছে না, এই ভেবে কিন্তু কলকাতায় ফিরিনি। দিল্লিতে থাকাকালীন আমার হিন্দি ছবিটা হয়েছিল। আর এখানে ফিরেছিলাম রাজর্ষি দের ‘শুভ নববর্ষ’ করতে”।

দিল্লি থেকে ফিরে আসার কারন বললেন “আসলে আমি কিছুতেই অ্যাডজাস্ট করতে পারছিলাম না দিল্লিতে। শহরটার মানুষজন, সোসাইটি কিছুই আমার পছন্দ হয়নি। আমার বিজনেস পার্টনার বরুণকে  সেটা বলায় ও বুঝল। আর এখন খানিকটা হলেও কোম্পানি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বরুণের উপরে ছেড়ে চলে আসতে পেরেছি। তদারকি করতে মাঝেমধ্যে যাই”।

নামী ক্যাম্পের ব্যাপারে তাঁর মত “ টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিতে চিরকালই কোনও না কোনও নামী ক্যাম্প রাজত্ব করেছে। ইদানীং তা-ও মোনোপলিটা খানিক কমেছে, কাজগুলো ভাগ হয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক, এই মুহূর্তে কোনও এ-গ্রেড ক্যাম্পের অফার নেই আমার হাতে। তবে এমনও হতে পারে, অফার এল অথচ আমার পছন্দ হল না। আমি কখনওই ব্র্যান্ড নেম দেখে ছবি বাছি না। স্টোরি, স্ক্রিপ্ট, ক্যারেক্টার, ডিরেক্টর... এই চারটে বিষয়ই বরাবর আমার কাছে প্রাধান্য পেয়েছে। যে কারণে আমি ‘সাঁঝবাতি’ থেকে বেরিয়ে এলাম”।

পরিচালক দেখে কাজ করেন। বললেন “নতুন পরিচালকদের ভিশনটা বুঝতে চেষ্টা করি। মুম্বইয়ের একটি ছেলে কিছু দিন আগে একটা স্ক্রিপ্ট শুনিয়েছে, যেটা ভীষণ পছন্দ হয়েছে। শিবুও (শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়) বলেছে, আমার সঙ্গে কাজ করতে চায়। সময় করে একসঙ্গে বসাটা আর হচ্ছে না। ‘প্রাক্তন’-এর সময়ে ওকে ‘না’ বলেছিলাম। অপরাজিতা আঢ্যের চরিত্রটা করার কথা ছিল আমার। তবে সত্যি কথা বলতে, ক্রাউডপুলার পরিচালকদের চেয়েও গৌতম ঘোষ কিংবা অতনু ঘোষের মতো পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করা আমার উইশলিস্টে প্রথমে”।

মিতিন মাসির চরিত্রটি তাঁর পছন্দের। বললেন কোয়েলের লুকটা অসাধারণ। সেটা আমি অনেকদিন আগেই ওকে বলেছিলাম। ওয়েবের অন্যান্য অফার সব ফিরিয়ে দিচ্ছি এখন, কারণ ওয়েবের ডেবিউটা মিতিন মাসি দিয়েই করতে চাই। পরমব্রত (চট্টোপাধ্যায়) তো একটা গাজর ঝুলিয়ে রেখে বলেছে, ডিসেম্বরে হবে। দেখি কী হয়...

‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’ তে তিনি রানির ভূমিকায়, তবে কাজ করতে একটু অসুবিধা হয়েছে। বললেন “অত ভারী গয়না আর মেকআপ নিয়ে কাজ করাটাই কঠিন ছিল। আমার সারা গা ছড়ে গিয়েছে গয়নাগুলো পরতে আর খুলতে গিয়ে। এ তো আর ‘পদ্মাবত’ নয় যে, নামী ব্র্যান্ডের গয়না থাকবে! পর্দায় কিন্তু দেখে বোঝা যাবে না সেটা। এত লার্জ স্কেলে বাংলা ছবি ভাবাটাই একটা দুঃসাহসিক কাজ। হ্যাটস অফ টু দেব! শুধু আমাকে কাস্ট করেছে বলে নয়, যে ধরনের ছবি ও করে চলেছে, সেটাকে ভীষণ ভাবে সমর্থন করি আমি”। 

পরের ছবি নিয়ে জানালেন, “এখন শিলাদিত্যের ‘হৃৎপিণ্ড’ করছি। অরুণাচলে শুট। রাজর্ষির ‘পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণ উত্তর আসবেই’-এর মুক্তি আসন্ন। ওর পরের ছবিটার জন্যও কথা হচ্ছে। অনীক দত্তের ‘বরুণবাবুর বন্ধু’ করেছি। ‘অব্যক্ত’র পর অর্জুনের ‘গুলদস্তা’ করলাম”।

 

 


Find Out More:

Related Articles: