ইচ্ছা মেনেই শেষ যাত্রা তরুণ মজুমদারের

A G Bengali
ইচ্ছা মেনেই শেষ যাত্রা তরুণ মজুমদারের। গায়ের ওপর জড়ানো কমিউনিস্ট পার্টির লাল পতাকা। বুকের ওপর গীতাঞ্জলি। এনটিওয়ান স্টুডিয়োতে নিজের অফিস থেকে শেষ বার রওনা হল দেহ। এসএসকেএমের উদ্দেশে। সেখানেই হয়েছে দেহদান। এসএসকেএম হাসপাতালে সোমবার সকালে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। হাসপাতালে শেষ পর্যন্ত ছিলেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, শতরূপ ঘোষ, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, মধুছন্দা দেব। দুপুর ২টো ৪২ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বার করে আনা হয় তরুণ মজুমদারের দেহ।

প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে প্রয়াত হন তরুণ মজুমদার। দিন কয়েক ধরেই অসুস্থ ছিলেন তরুণ মজুমদার। ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে। রাখা হয়েছিল লাইফ সাপোর্টে। তবে গত বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। খবর পেয়েই হাসপাতালে দেখতে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ সদস্যের এক মেডিক্যাল বোর্ড তরুণ মজুমদারের চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষীয়াণ পরিচালকের হৃদযন্ত্র ঠিকমতো কাজ করছিল না। ফুসফুসে সংক্রমণও ছিল। শ্বাসকষ্টও হচ্ছিল। রাইস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছিল পরিচালককে। তবে চিন্তা বাড়ায়, পরিচালক তরুণের আচ্ছন্নভাব বৃদ্ধি পাওয়া। পাশাপাশি বার্ধ্যজনিত কারণে শারীরিক বেশ কিছু সমস্যা তো ছিলই।

উল্লেখ্য, তরুণ মজুমদার তাঁর গোটা ফিল্মি কেরিয়ারে সবথেকে বেশি কাজ করেছেন স্ত্রী-অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় ও তাপস পালকে নিয়ে। শুধু তাই নয়, তাঁর হাত ধরেই রুপোলি পর্দায় উঠে আসেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, মহুয়া রায়চৌধুরি, তাপস পাল, অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো তাবড় অভিনেতারা।

Find Out More:

Related Articles: