মঙ্গলবার প্রায় ৫০ মিনিট বম্বে হাইকোর্টে সওয়াল জবাব চলে। আগামী কাল অর্থাৎ বুধবার দুপুর ২.৩০ মিনিটে আরিয়ানের মামলার শুনানি হবে বলে ঘোষণা করেন বিচারক নিতিন সাম্বর। ইতিমধ্যেই ১৮ দিন জেল হেফাজতে কাটাচ্ছেন আরিয়ান খান। বম্বে হাই কোর্টের প্রতি আস্থা রেখেছিলেন শাহরুখ খান এবং গৌরী খান। আর সে জন্যই গত সপ্তাহে ছেলের জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল খান পরিবার।
গত ২ অক্টোবর মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে আটক করা হয়েছিল আরিয়ানকে। তার পর ৩ তারিখ তাঁকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। মোট দু’বার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, জামিনে ছাড়া পেলে, আরিয়ান তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারেন। এ বার মনে করা হয়েছিল, জামিন পেতে পারেন তারকা-সন্তান। তদন্তকারী আধিকারিকের ভূমিকা ধোঁয়াশায় বলেই আরিয়ানকে জামিন দিতে পারে আদালত, এমনই ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও রায় শোনানো হয়নি মঙ্গলবার। এ বার মনে করা হয়েছিল, জামিন পেতে পারেন তারকা-সন্তান। তদন্তকারী আধিকারিকের ভূমিকা ধোঁয়াশায় বলেই আরিয়ানকে জামিন দিতে পারে আদালত, এমনই ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও রায় শোনানো হয়নি মঙ্গলবার।
মাদক-মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেইল জানিয়েছেন, শাহরুখ-পুত্রকে গ্রেফতার করার পর তাঁকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সমীর। তা ছাড়া প্রভাকর আশঙ্কা করছেন, সমীর তাঁকেও বিপদে ফেলতে পারেন। অন্য দিকে সমীরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছে এনসিবি।