ফেসবুকে লিখেছিলেন, যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফেরার কথা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকা বুকে ব্যথা অনুভব করেন পিলু৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিন সঙ্গীতশিল্পীর ছেলে ঋতর্ষি ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে বাবার মৃত্যু সংবাদ। ফেসবুক পোস্টে লেখা, ''আমি ঋতর্ষি ভট্টাচার্য্য, অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আমার বাবা শ্রী পিলু ভট্টাচার্য্য আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন । তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করুন।''
কেরিয়ারের শুরুতে সাফল্য না এলেও ধীরে ধীরে ছবিতে জনপ্রিয় হয় পিলু ভট্টাচার্যের গান। পাশাপাশি, তিনি নিজেও নিজের গান লিখতে শুরু করেন। সুর দেন। আস্তে আস্তে শিল্পীর নিজস্ব গানও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০০৭ সালে তাঁর 'রাধামাধব' অ্যালবাম শ্রোতাদের মন জয় করেছিল। এর পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। বর্ষীয়ান সংগীত শিল্পীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জোজো, রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একাধিক তারকা। বন্ধু সংগীত শিল্পী মৃত্যুর খবর পেয়ে জোজো সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, 'পিলু, এটা ঠিক হল না বন্ধু'। ছোট বেলা কাটিয়েছেন উত্তর কলকাতায়। পড়াশুনার পাশাপাশি গানকে চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রথম জীবনে কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে ধীরে ধীরে কিছুটা নাম অর্জন করেন। কেরিয়ারের শুরুতে অনেকটা স্ট্রাগল করতে হয়েছিল। পরবর্তীতে ছবিতে একের পর এক হিট গান গেয়েছেন। বিশেষ করে প্যারোডি গান ও মজার গানের জন্য খ্যাত তিনি। এরপর নিজেই গান লিখতে শুরু করেন। তাঁর মৌলিক গানের অ্যালবাম রাতারাতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।