ভাগ্যের সাথে পরিশ্রম বেশি জরুরি – সোনম

Biswas Riya

বিয়ের পর থেকে কাজ ও সংসার একসাথে সামলে চলেছেন সোনম কাপুর। কিভাবে সামলাচ্ছেন একা হাতে সব? তাঁর মতে “ইচ্ছে থাকলে সব হয়। সময় পেলেই ভিডিয়ো কল করি। দু’সপ্তাহের বেশি আমরা আলাদা থাকি না। আজকের দিনে দূরত্ব কোনও সমস্যা নয় ঠিকই। কিন্তু ইন্ডিয়া-লন্ডন যাতায়াত করাটা খুব সহজ নয়। বিয়ের পরে প্রথম দিকে আমি এত ট্র্যাভেল করতে পারতাম না। তাই আনন্দের সঙ্গে দেখা কম হত। কিন্তু এখন যতটা পারি একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করি। একসঙ্গে থাকলেও আমাদের আলাদা আলাদা কাজ থাকে। দিনে একবার অন্তত দু’জনে একসঙ্গে বসে খাওয়ার চেষ্টা করি”।

লন্ডনে একা ঘুরে বেড়ানোর ব্যাপারটা তিনি বেশ এনজয়ই করেন।তাঁর কথায় “লন্ডনে আমি রাস্তাঘাটে অনায়াসে ঘুরে বেড়াতে পারি। মুম্বইয়ে সেটা সম্ভব নয়। লন্ডনে গেলে নিজেকে সব কাজ করতে হয়। নিজে রান্না করি। তার পর ঘর গোছানো তাও নিজে করি। হ্যাঁ, আনন্দ সাহায্য করে বইকি”। 

তিনি ভাগ্যে বিশ্বাসী হলেও পরিশ্রমে আস্থা রাখেন অনেকটা পরিশ্রম আর কিছুটা ভাগ্য।তাঁর বিশ্বাস  “জীবনে কিছু সুযোগ আসে যেটা আপনি ভাগ্যের জোরে পান। ফিল্মি পরিবারে অনিল কপূরের মেয়ে হয়ে জন্মানোটা আমার ভাগ্য। কিন্তু তার পরে আমাকে পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমি যখন প্রথম সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর সঙ্গে দেখা করতে যাই, নিজের পরিচয় দিইনি। রণবীর কপূর তখন ওঁকে অ্যাসিস্ট করছিল। আমি রণবীরের বন্ধু হিসেবে গিয়েছিলাম। তার আরও একটা কারণ, সিনেমায় আমার কাজ করা নিয়ে বাবার (অনিল কপূর) অমত ছিল। বাবা চেয়েছিলেন আমি বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করি। সঞ্জয় স্যর আমাকে দেখা মাত্রই ছবির অফার দেন। এটা আমার ভাগ্য ছিল। কিন্তু তার পরে আমাকে ‘সাওরিয়া’র জন্য অনেক লুকটেস্ট দিতে হয়েছে। আসলে ভাগ্য আপনাকে একটা সুযোগ দিতে পারে। কিন্তু আপনার অধ্যবসায় আর লক্ষ্য আপনাকে সফল করবে”।

সংস্কারেও আস্থা রাখেন তিনি। “দেখুন, আমি ভারতীয়। তাই কিছু জিনিস তো মেনে চলিই। আমার টিমের একজন আছে, যে আমার ফিল্মের ট্রায়ালে কোনও দিন আসে না। ও এলে সেই ছবিটা চলে না। আর এটা কিন্তু আমি বলি না। আমার ওই টিম মেম্বারই বলে।  ছোটবেলার মতো এখনও রোজ রাতে আমি প্রার্থনা করি। কোথাও যাওয়ার আগে বা নতুন কিছু শুরু করার আগে ঈশ্বরকে স্মরণ করি। এগুলোকে আমি সংস্কার বলে মনে করি। কুসংস্কার নয়”। 

তাঁর ইচ্ছার মধ্যে অন্যতম ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ র রিমেক করা। “২০ বছর হয়ে গেল, বাবা কিছু করলেনই না। স্বত্ব আছে বনি কপূরের কাছে। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র কাস্ট থেকে শুরু করে মিউজিক সব ডিপার্টমেন্টই একদম পারফেক্ট। এমন কাউকে জানি না, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ যাঁর ভাল লাগেনি”।

 

 

 


Find Out More:

Related Articles: