বিশ্ব জুড়ে করোনার প্রভাবে মৃত্যু মিছিল
গোটা বিশ্ব এখন করোনার ত্রাসে থরহরি কম্পমান। সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার পেরিয়ে গেল স্পেনে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে মৃত্যু হয়েছে ৬৫৫ জনের। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, মৃতের হার বেড়ে গিয়েছে ১৯ শতাংশ। কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা এখানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬,১৮৮।
১৪ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণা করার পরেও মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যায়নি স্পেনে। পার্লামেন্ট আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, লকডাউন জারি থাকবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। রাজধানী শহর মাদ্রিদে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে করোনার। প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সাঞ্চেজের স্ত্রীও আক্রান্ত কোভিড-১৯-এ। পেড্রোর মতে, ১৯৩৬-৩৯ সালে দেশে গৃহযুদ্ধের পরে ফের এত বড় সঙ্কটের মুখে স্পেন। কোভিড-১৯-এর ভরকেন্দ্র ইটালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার। মৃত্যুর সংখ্যাও ৭ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।
করোনা-আতঙ্ক ছুঁতে চলেছে বিদ্রোহী-অধ্যুষিত সিরিয়াকেও। খাবার জল, সাবান, বা স্যানিটাইজ়ার, কোনওটাই হাতের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই সিরিয়ার বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে আটকে থাকা মানুষের কাছে। ইদলিব প্রদেশের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, এর মধ্যে যতটা সাবধান থাকা যায়, তার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ধীরে ধীরে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াকেও বিপাকে ফেলতে চলেছে করোনাভাইরাস। হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এখানেও।
আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ হাজার ছুঁইছুঁই। প্রতিরক্ষা দফতরের দাবি, ২৮০ জন সেনা নতুন করে করোনায় আক্রান্ত। সেনাবাহিনীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০-র কাছাকাছি। অর্থনৈতিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশ। একটি সূত্রে দাবি, ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষের হাতে কাজ নেই। যদিও সে দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন মার্কিন শুল্কসচিব। বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশে আটকে থাকা ১০ হাজারেরও বেশি মার্কিন নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এখনও বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা অন্তত ৫০ হাজার মার্কিন নাগরিক ফেরার আর্জি জানাতে পারেন। কাল থেকে ফ্লরিডার মায়ামি শহরে জারি হচ্ছে কার্ফু।