স্কুল চত্বরে ছাত্রছাত্রীরা মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না ; শিক্ষকরা ১০.৫০ পর স্কুল এলে লেট ধরা হবে , ১১.০৫ হলে অনুপস্থিত হিসাবে গণ্য হবেন ; নয়া নির্দেশিকা জারি পর্ষদের
স্কুল চত্বরে আর মোবাইল ব্যবহার কার যাবে না। এবার থেকে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে মোবাইল আনতে পারবে না । তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে শিক্ষকরা মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গেছে । ২০২০ সালের নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নিয়ম চালু হতে চলেছে।
স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল-স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ে শিক্ষামহলে বিতর্ক রয়েছে। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফোন কথা বলা নিয়েও একাংশের পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। অভিযোগ, স্কুলে মোবাইল ব্যবহারের কারণে পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা। এ বার বিষয়টি কড়া হাতেই মোকাবিলা করতে চায় শিক্ষা দফতর।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদন পাওয়ার পরই গত ৯ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্যদের (শিক্ষা) উপসচিব পার্থ কর্মকারের তরফে নোটিস জারি করা হয়েছে। সরকারি স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল-সহ পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে সমস্ত স্কুলেই এই নিময় কার্যকর হচ্ছে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই পড়ুয়ারা স্কুল চত্বরে মোবাইল আর ব্যবহার করতে পারবে না। একই সঙ্গে ক্লাসে এবং ল্যাবরেটরিতে মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্যে শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঘন ঘন মোবাইল ব্যবহার একে বারেই নিষেধ করা হয়েছে। যদি কোনও প্রয়োজনে ক্লাসে মোবাইল ব্যবহার করতেই হয়, তা হলে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে শিক্ষকদের।
একই সঙ্গে শিক্ষক এবং অশিক্ষকর্মীদের স্কুলে নির্দিষ্টি সময় আসার বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দফতর। তাতে বলা হয়েছে, ১০টা ৪০ থেকে ১০টা ৫০মিনিটের মধ্যে স্কুলের প্রার্থনায় অংশ নিতে হবে প্রত্যককেই। ১০টা ৫০ মিনিটের পরে কেউ স্কুলে ঢুকলে, তা ‘লেট’ হিসাবেই গ্রাহ্য হবে। সকাল ১১টা ৫ মিনিটের পরে স্কুলে ঢুকলে তাঁকে অনুপস্থিত ধরা হবে।