নিজেদের নিরাপত্তা ও ইনসাফের দাবিতে দিল্লি পুলিশের সদর দফতরে বিক্ষোভে সামিল পুলিশ কর্মীরা , অস্বস্তিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

Paramanik Akash
স্বাধীনতা ৭২ বছরে এটাও একটা রের্কড কেন্দ্র সরকারের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ কর্মীরা আইনজীবীদের হাতে মার খেয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল হলেন । খাকি উর্দি পরেই নিজের সদর দফতরের সামনে বিচার চাইতে বসলেন হাজার হাজার পুলিশ কর্মী । পরিস্থিতি এতটাই ঘোরাল হয়ে ওঠে যে বিক্ষোভকারীদের কাছে হাজির হন দিল্লির পুলিশ কমিশনার স্বয়ং।বাহিনীর বিক্ষোভরত সদস্যদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন। কথা দেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেখা যায়, গোটা সদর দফতর ঘিরে ফেলেন তাঁরা। তবে কোনও স্লোগান নয়, চিৎকার নয়, শুধু নীরব প্রতিবাদ। হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড। সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘আমরা দুঃখিত। আমরা পুলিশ। আমাদের কোনও অস্তিত্ব নেই। আমাদের পরিবার নেই। আমাদের কোনও মানবিক অধিকারও নেই।’ অনেকের হাতে প্ল্যাকার্ড, ‘আমরা বিচার চাই।’
ঘটনার সূত্রপাত ২ নভেম্বর। দিল্লির তিসহাজারি আদালতের পার্কিং এরিয়ায় এক আইনজীবীর গাড়িতে পুলিশের গাড়ির ধাক্কার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে আদালত এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায়। কমপক্ষে ২০ জন পুলিশ কর্মী আহত হন আইনজীবীদের হামলায়, এমনটাই পুলিশ কর্মীদের অভিযোগ। উত্তেজিত আইনজীবীরা ভাঙচুর চালান একের পর এক পুলিশের গাড়িতে। আগুন পর্যন্ত ধরিয়ে দেন। আইনজীবীদের পাল্টা অভিযোগ, কয়েকজন পুলিশ কর্মী এক নিরস্ত্র আইনজীবীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, পুলিশের গাড়িতে তুলে ব্যাপক মারধরও করে।
দিল্লি পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের অভিযোগ, পর পর উর্দির উপর আক্রমণ নেমে আসার পরও কোনও ব্যবস্থা নেননিদিল্লি পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। অভিযোগ, বাহিনীর সদস্যদের পাশে থাকার পরিবর্তে, নীরব দর্শকই থেকেছে তাঁদের উঁচু তলা।
প্রতিবাদী পুলিশ কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দিল্লি পুলিশের প্রাক্তন শীর্ষ আধিকারিকদের অনেকেই। দিল্লির প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার টুইট করে বলেন, ‘‘বাহিনীর কোনও নেতা নেই। বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে একতা নেই। এক জন সহকর্মী আক্রান্ত হলে বাকিরা তাঁকে বাঁচাতে যাচ্ছেন না।”
এর পর, মঙ্গলবার পুলিশের বেনজির এই বিক্ষোভে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও। তড়িঘড়ি সদর দফতরের বাইরে বেরিয়ে আসেন পুলিশ কমিশনার। তিনি বাহিনীর সদস্যদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন। বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘এটা পুলিশের পরীক্ষার সময়।” আশ্বাস দেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দোষীরা শাস্তি পাবেন। সূত্রের খবর, পর পর ওই হামলার ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে।


Find Out More:

Related Articles: