২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাসিনা
বিদেশি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমরা নিজেরা ব্যবসা করি না কিন্তু আমরা ব্যবসাবান্ধব সরকার। যখন আমরা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করি, তখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সেই মন্দা কাটিয়ে উঠে আমরা আজকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের রফতানিও আমরা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। প্রবৃদ্ধি অর্জনে আজ আমরা ৮ দশমিক ১৫ ভাগ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। সারা বিশ্বে প্রবৃদ্ধি অর্জন কমে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন বৃদ্ধি করে চলছে। আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক মেলাার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এ সময় রফতানি বাড়াতে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যকে ২০২০ সালের জাতীয় পণ্য ঘোষণা করেন সরকারপ্রধান।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনকে সামনে রেখে দেশের পণ্য প্রদর্শনী এবং পারিবারিক বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দৃষ্টিনন্দন করে এবারের মেলাকে সাজানো হয়েছে। ৩২ একর জমির ওপর নতুন রূপে সাজানো হয়েছে এবারের মেলা। মেলার গেট সাজানো হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে। সঙ্গে রয়েছে পদ্মা সেতুর রেপ্লিকা।
মেলায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৮৩টি স্টল থাকছে। স্টলের মধ্যে রয়েছে ১১২টি প্যাভিলিয়ন, ১২৮টি মিনি প্যাভিলিয়ন এবং ২৪৩টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নকে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্য দেশগুলো হচ্ছে- ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান, মরিশাস, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়া।
মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রবেশ টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ৪০ টাকা (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মোট টিকিটের ২৫ শতাংশ অনলাইনে পাওয়া যাবে। খাবারের দোকানগুলোর জন্য খাবারের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মেলায় খাবারের দাম যেনো বেশি রাখা না হয়, সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ থাকবে। একই সঙ্গে মেলার মাঠে চালু থাকবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম।
অনলাইনে মেলার সব তথ্য পাওয়া যাবে। যানবাহন পার্কিংসহ মেলায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। রয়েছে দুইটি মা ও শিশুকেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক এবং ব্যাংকের পর্যাপ্ত এটিএম বুথ।