মহম্মদ শামি যে খেলবেন না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বোর্ড। বাংলার পেসারের জায়গায় কে সুযোগ পাবেন সেই নিয়ে একাধিক নাম উঠে আসছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত বোর্ড বেছে নিল বাঁহাতি অভিজ্ঞ পেসার জয়দেব উনাদকটকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ বার উনাদকটকে দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। চার বছর পর আবার ভারতীয় দলে ডাক পেলেন বাঁহাতি পেসার। ১২ বছর আগে ভারতের হয়ে একটি মাত্র টেস্ট খেলেছিলেন উনাদকট। শামির বদলে দলে আসার জন্য উমরান মালিক এবং মুকেশ কুমার এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে উনাদকট যেমন ছন্দে ছিলেন, সেই বিচারেই তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, তেলেঙ্গানার গাচিবোলি স্টেডিয়ামে শুক্রবার সন্ধ্যায় হায়দরাবাদ এফসি খেলল ইস্টবেঙ্গল এফসি-র (Hyderabad FC vs East Bengal) সঙ্গে। নিজামের শহরে গিয়েও হেরে বসল লাল-হলুদ ব্রিগেড। হায়দরাবাদ ২-০ গোলে হারিয়ে দিল লেসলি ক্লডিয়াস সরণির শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবকে। আর এই জয়ের সঙ্গেই ফের একবার হায়দরাবাদ পয়েন্ট টেবলের মগডালে গিয়ে বসল। ১০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে হায়দরাবাদ একে। ৯ ম্যাচে ২১ পয়েন্টের সৌজন্যে মুম্বই সিটি (Mumbai City) দুয়ে। তিনে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohunbagan)। ৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট। অন্য়দিকে ইস্টবেঙ্গল ৯ ম্যাচ খেলে মাত্র তিনটিতে জিতেছে এই মরসুমে। বাকি হাফ ডজন ম্যাচই তারা হারল। ফলে পয়েন্ট টেবলে আটেই থাকতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। এদিন আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেই কনস্ট্যানটাইনের শিষ্যরা গোলের মুখ খুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হায়দরাবাদ পাল্টা আক্রমণে গিয়েই গোলের মুখ খুলে ফেলে। প্রথমার্ধের ৩৮ মিনিটেই মহম্মদ ইয়াসিরের দুরন্ত গোলে এগিয়ে যায় হায়দরাবাদ। সৌজন্যে অবশ্যই ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সের হতশ্রী চেহারা। বিরতির আগে লাল-হলুদ সেই শোধ করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের ৮৫ মিনিটে জ্যাভিয়ের সিভেরিওর গোলে ইস্টবেঙ্গলের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেয়। ইস্টবেঙ্গলকে এদিনও সেই একজন পজিটিভ স্ট্রাইকারের অভাব ভোগাল।