ফের ময়দানে করোনার থাবা। সুভাষ ভৌমিকের প্রাণের বন্ধু ও ময়দানের কিংবদন্তি ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত (Surajit Sengupta) করোনা (Covid-19) আক্রান্ত। গত রবিবার গভীর রাতে তাঁরে ভর্তি করা হয়েছে বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা উইঙ্গারের শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় তাঁকে রাখা হয়েছে অক্সিজেন সাপোর্টে। গত কয়েক দিন ধরেই বেশ কাশি হচ্ছিল। শনিবার প্রয়াত ফুটবলার সুভাষ ভৌমিককে নিয়ে সেই অবস্থাতেই একটি দৈনিকে লিখেছিলেন। পরে কোভিড পরীক্ষা করান। সোমবার তার পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেও তিনি ফোনে কথা বলেছেন। বেশ কয়েক বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুরজিৎ। তখন স্টেন্ট বসাতে হয়েছিল।
বাংলা ফুটবলের দিকে তাকালে সাতের দশকের শেষ দিকে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক হওয়া সুরজিৎ সেনগুপ্ত কলকাতার তিন প্রধান মাতালেও, লাল-হলুদের 'ঘরের ছেলে' হয়ে গিয়েছিলেন। দলের একাধিক যুদ্ধ জয়ের নেপথ্যের নায়ক ছিলেন তিনি।১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ এবং ১৯৭৭-এর কলকাতা ফুটবল লিগ, ছ’বার আইএফএ শিল্ড, তিন বার ডুরান্ড জয়ের মুকুট উঠেছিল ইস্টবেঙ্গলের মাথায়। স্বপ্নের দৌড়ে চলছিল লাল-হলুদ বাহিনীর। ১৯৭৫ সালের ডার্বিতে (আইএফএ শিল্ডের ফাইনাল) ইস্টবেঙ্গল ৫-০ গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগানকে। ঐতিহাসিক এই ম্যাচের পাঁচ মিনিটে গোল করেই দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। জোড়া গোল করেছিলেন শ্যাম থাপা, স্কোরশিটে নাম লেখান রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় এবং শুভঙ্কর সান্যালও। ঐতিহাসিক এই ম্যাচের পাঁচ মিনিটে গোল করেই দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। জোড়া গোল করেছিলেন শ্যাম থাপা, স্কোরশিটে নাম লেখান রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় এবং শুভঙ্কর সান্যালও।