বর্ষা শেষে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। সঙ্গে আবার ঘুর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হয়েছে ঘুর্ণাবর্ত। আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেই ঘুর্ণাবর্তটি পরিণত হবে নিম্নচাপে। শুক্রবার থেকে সাগরে ক্রমশই শক্তি বাড়বে নিম্নচাপটির। সোমবার, কালীপুজোর দিন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছনোর পর, সেটি ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য থেকে বর্ষার বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে, ভোরের দিকে হালকা উত্তুরে হাওয়া বইবে। ফলে শীতের আমেজ পাবেন রাজ্যবাসী।
অন্যদিকে, এদিকে কোন পথে ঘূর্ণিঝড় অগ্রসর হবে, তীব্রতা কত হবে, সে বিষয়ে হাওয়া অফিসের তরফে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এখনও যেহেতু নিম্নচাপ তৈরি হয়নি, তাই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ এবং কোন উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হচ্ছে। নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ এবং তীব্রতা নিয়ে যাবতীয় তথ্য জানানো হবে। হাওয়া অফিল জানিয়েছে, আজ উত্তর আন্দামান এবং সংলগ্ন অঞ্চলে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্তটি থেকে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) তা আরও কিছুটা ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। শনিবার (২২ অক্টোবর) আরও কিছুটা ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় তা আরও শক্তিশালী হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। রবিবার (২৩ অক্টোবর) মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যে সমুদ্রে চলে গিয়েছেন, তাঁদের ২২ অক্টোবরের রাতের মধ্যে উপকূলে ফেরত আসতে বলা হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকবে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। আজকের মধ্যে রাজ্য থেকে বর্ষা পুরোপুরি বিদায় নিতে পারে।