২৫ জুলাই সকাল ১০.১৫ মিনিটে সংসদের সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন দ্রৌপদী মুর্মু। তার আগে রাজকীয় এক শোভাযাত্রা বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে সংসদের সেন্ট্রাল হলে পৌঁছবে। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন দেশের প্রধান বিচারপতি। শপথপাঠ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার নেবেন দ্রৌপদী মুর্মু। সে সময়ে করা হবে ২১টি তোপধ্বনি। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে দায়িত্বভার তুলে দেবেন। সেদিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি, লোকসভার স্পিকার এবং পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা। আমন্ত্রিত থাকবেন সব রাজ্যের রাজ্যপাল, সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, একাধিক দেশের রাষ্ট্রদূত, সাংসদ এবং দেশের সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা। সংসদের সেন্ট্রাল হল থেকেই জাতির উদ্দেশ্যে প্রথম ভাষণ দেবেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শেষ। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসে আর ফিরছেন না রাষ্ট্রপতি পদে সদ্য পরাজিত প্রার্থী যশবন্ত সিন্হা। আজ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ফলাফল ঘোষণার পরে এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেছি। স্থির করেছি, আর কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না। রাজনৈতিক দলে যোগ না দিয়েও মানুষের সঙ্গে থাকব।” যশবন্ত ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁর তৈরি করা রাষ্ট্রীয় মঞ্চতেই ফের তাঁকে সক্রিয় হতে দেখা যাবে। সেখান থেকে তিনি ‘নিজের কথা’ বলতে পারবেন। এ ছাড়া অন্য কোনও মঞ্চ তৈরি করবেন কি না, তা পরে স্থির করবেন। গত বছর মার্চ মাসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন যশবন্ত। দলের জাতীয় সহ সভাপতিও হন। পরপর তিন জন রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পরে বিরোধী পক্ষ থেকে যশবন্তকে চূড়ান্ত করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘বৃহত্তর কারণে’ তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন। তিনি হেরে যাওয়ার পরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি যশবন্ত আবার তৃণমূলে ফিরবেন? আজ সেই সম্ভাবনা আপাতত নাকচ করে দিয়েছেন যশবন্ত নিজেই।