রেণু খাতুনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উপযুক্ত কাজ, চিকিৎসার খরচ এবং কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করবে সরকার। বুধবার এই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ওর জন্য ৩টে কাজ করছি। এক, যে কাজটা ও করতে পারবে, সেই কাজটাই ওকে করতে দেওয়া হবে। দুই, যে হাতটা কেটে দিয়েছে সেখানে আর্টিফিসিয়াল হাতের ব্যবস্থা করব। তিন, ও যেখানে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিল, সেখানে ৫৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। সেটা আমরা দিয়ে দেব। ওর স্বাস্থ্যসাথী থাকা সত্ত্বেও সেটা ওরা নেয়নি। কেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেওয়া হয়নি? সেটা মুখ্যসচিবকে দেখতে বলেছি।"
বুধবার ভবানীপুরে খুন হওয়া শাহ দম্পতির বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় গিয়ে দেখা করেছেন ওই তরুণীর সঙ্গে। নার্সিং পরীক্ষার প্যানেলের ২২ নম্বরে নাম ছিল ওই তরুণীর। তার ডান হাত নেই। তাই সে যে কাজটা করতে পারে আমরা তার ব্যবস্থা করব।’’ শনিবার রাতে রেণুর ডান হাত কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তঁর স্বামী শের মহম্মদের বিরুদ্ধে। পুলিশ শের মহম্মদ এবং তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রেণু। বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রী যাতে হস্তক্ষেপ করেন সেই আবেদন আগেই জানিয়েছিলেন রেণু।
প্রসঙ্গত, স্ত্রী রেনু সরকারি নার্সের চাকরি পাওয়া পছন্দ হয়নি স্বামী সফিরুল শেখের। তাই স্ত্রী যাতে কাজে যোগ দিতে না পারে তা নিশ্চিত করতে, 'নিরাপত্তাহীনতা' থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় কবজি থেকে রেনুর ডান হাত কেটে নেয় সফিরুল। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সরিফুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।