তিন দিন কেটে গেলেও খোঁজ মেলেনি

A G Bengali
গত ১৫ ডিসেম্বর (বুধবার) বেলা ১২টায় শীতের পোশাক কেনাকাটা করতে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর থেকে আর কোনও সন্ধান নেই বধূ অনন্যা কর্মকার, তাঁর জা রিয়া কর্মকার এবং রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুশ কর্মকারের। পরিবারের সদস্যেরা কখনও থানা কখনো বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়ি দৌড়াদৌড়ি করছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই উদ্যোগ নিষ্ফল। কোথায় গেলেন দুই গৃহবধূ এবং সাত বছরের শিশু? উৎকণ্ঠায় বাড়ির লোকজন। উদ্বেগ বাড়ছে ক্রমশ। পারিবারিক এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজদের শেষ মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন শ্রীরামপুরের রয় এমসি ভাদুড়ি লাহিড়ী স্ট্রিটের। কিন্তু সেখানে কারও হদিস পাওয়া যায়নি। 

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার দিন সকালে একটি নম্বর থেকে ফোন বার বার এসেছিল ছোট বউ রিয়া কর্মকারের মোবাইলে। বালি নিখোঁজ কাণ্ডে এই ফোন নম্বর-ই কি 'মিসিং লিঙ্ক'? সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারেরই এক আত্মীয়ের ফোন নম্বর সেটি। কিন্তু পরিবারের লোকজন পুলিসের সাহায্যে চন্দননগরের সেই ঠিকানায় পৌঁছলে অবশ্য কারও হদিশ পাওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে বালি নিখোঁজ কাণ্ডে ক্রমশ রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। কোথায় গেল ৩ জন? ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে তা নিয়ে। শ্রীরামপুর থানার সাথে যোগাযোগ করে এখন ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে নিশ্চিন্দা থানার পুলিস। কিন্তু, তাও অনেকটা খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজার মত যেন! আতঙ্কে, আশঙ্কায় দিশেহারা দশা পরিবারের লোকজনের। বাড়ির ২ বউ ও নাতির ফিরে আসার পথ চেয়ে বসে আছেন সকলে।

Find Out More:

Related Articles: