দেশে ওমিক্রন আতঙ্ক বাড়ছে। এখন পর্যন্ত বিদেশ থেকে ফেরা ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওমিক্রনে দেশে মোট পাঁচ জন আক্রান্তের হদিশ মিলল। এর আগে কর্ণাটক, গুজরাত, মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন-আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। শনিবারই দেশে ওমিক্রনের চতুর্থ আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল মুম্বইয়ে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই আক্রান্তের বয়স ৩৩। তিনি মহারাষ্ট্রের ডোম্বিবলীর বাসিন্দা। নভেম্বরের শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুবাই এবং দিল্লি হয়ে মুম্বই বিমানবন্দরে নামেন তিনি। তাঁর কোভিড পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
রবিবার সকালেই মুম্বইয়ে এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের দেহে এই ভাইরাসের হদিস মিলেছে। দেশের মধ্যে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল কর্নাটকে। সেখানে দুই ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁদের মধ্যে এক জন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ওই রাজ্যে ফিরেছিলেন। দ্বিতীয় জন স্বাস্থ্যকর্মী। কিন্তু তিনি বিদেশে যাননি। কী ভাবে তিনি আক্রান্ত হলেন, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। গুজরাতের জামনগরে আরও এক জনের দেহে ওমিক্রন পাওয়া গিয়েছে শনিবার। কোভিড-এর এই নতুন রূপকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারত-সহ একাধিক দেশ আন্তর্জাতিক বিমানে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন-সহ অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া শুরু করেছে। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন ‘বি.১.১.৫২৯’ রূপকে উদ্বেগজনক বা ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেটিকে ‘ওমিক্রন’ নাম দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। নতুন এই রূপ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের।