সাল ১৯৯৯, সময় মে মাস। নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে মুশকো, দ্রাস, কাকসার এবং বাতালিক সেক্টর, কার্গিল সেক্টরে ঢুকে পড়েছিল পাক হানাদাররা। লক্ষ্য করেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। বলা হয়, অস্ত্র নিয়ে অনেকে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এবং বাঙ্কার ও পোস্ট তৈরি করছে। তাদের সরিয়ে দিতে অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন বিজয়’। সেই মিশনের মধ্য দি্য়েই কাশ্মীরের এলাকা দখল মুক্ত করতে সক্ষম হয় ভারতীয় বীর জওয়ানরা। প্রায় তিন মাস ধরে দু’পক্ষের লড়াই চলে। বীরত্ব ও সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে এমনকি নিজের জীবন দিয়ে পাক হানাদারদের তাড়িয়ে ছাড়ে ভারতীয় সেনা। শহিদ হন ভারতের ৫২৭ জন বীর জওয়ান। কার্গিলের যুদ্ধ যেখানে লড়া হয়েছিল তা অনেক উচ্চ পার্বত্য এলাকা। ১৮ হাজার ফুট উচ্চতায় রুক্ষ-শুষ্ক এমন এলাকায় যুদ্ধ লড়া এমনিতেই কঠিন কাজ। পৃথিবীর খুব কম এমন দেশ রয়েছে যারা এত উঁচু এলাকায় যুদ্ধে শামিল হয়েছে।
কার্গিল যুদ্ধ জেতার ক্ষেত্রে বায়ু সেনার শক্তি দারুণভাবে ভারত কাজে লাগিয়েছে। সেবারই প্রথম ৩২ হাজার ফুট উঁচুতে উঠে ভারতীয় সেনা সীমান্তে পাক সেনা, বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গি ঘাঁটি খুঁজে বের করে হামলা চালায়। মাত্র এক সপ্তাহের ট্রেনিংয়ের মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা একাজ করে দেখিয়েছিল। সবমিলিয়ে মোট ৬৯টি ফ্রন্টলাইন বায়ুসেনার বিমান ভারত যুদ্ধে ব্যবহার করেছিল। এর পাশাপাশি কার্গিল যুদ্ধ জিততে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার সেনা সীমান্তে পাঠিয়েছিল ভারত। ১৯৯৯ সালে 'অপারেশন বিজয়'-এর সাফল্যের কথা এই ২৬ জুলাইয়ের দিনই ঘোষণা করা হয়।