রাষ্ট্রপুঞ্জে সাপোর্ট পেয়ে পাক ও চিনকে চোখ রাঙানী নয়াদিল্লির
কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চিন তথা পাকিস্তানের দাবিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক। অন্য কারও মাথা ঘামানোর কোনও প্রয়োজন নেই। কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জে কূটনৈতিক জয় পাওয়ার পরে আজ একইসঙ্গে পাকিস্তান এবং চিনের উদ্দেশে তোপ দাগল নয়াদিল্লি।
পাশাপাশি সাংহাই রাষ্ট্রগোষ্ঠীর (এসসিও) বৈঠকে পাকিস্তানকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে এ দিন জানিয়েছে দিল্লি।
এর পরে আজ সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের এক সদস্য রাষ্ট্রকে দিয়ে পাকিস্তান আবার চেষ্টা করেছিল এই মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে দ্বিপাক্ষিক বিষয় আলোচনা করার। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মত অনুযায়ী স্থির হয় যে ওই মঞ্চ এই ধরনের আলোচনার জন্য সঠিক নয়। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক স্তরে বিষয়টি আলোচিত হওয়া উচিত।’’ গোড়ায় চিনের নাম না করলেও প্রশ্নের জবাবে সরাসরি বেজিংয়ের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ঐকমত্য চিনের আচরণেও প্রতিফলিত হওয়া উচিত। তা থেকে পাঠ নিয়ে ভবিষ্যতে এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকা উচিত।’’
অন্য দিকে, আজ রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরুদ্দিন বলেন, ‘‘আমরা ফের দেখলাম রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি সদস্য রাষ্ট্রের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল। পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের তুলে ধরা ভয়ঙ্কর চিত্র বা ভিত্তিহীন অভিযোগকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আর আমল দেওয়া হচ্ছে না।’’ আকবরুদ্দিনের বক্তব্য. ‘‘বেশ কয়েকটি বন্ধু রাষ্ট্র বুঝিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক বিষয়। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক স্তরে যে সব সমস্যা রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করার উপযুক্ত মঞ্চও আছে। আমাদের আশা পাকিস্তান শিক্ষা নেবে এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে যে কঠিন কাজগুলি করা প্রয়োজন সেগুলির দিকে নজর দেবে।’’
পাকিস্তানের উদ্দেশে বিষোদ্গারের পাশাপাশি আজ সরকারি ভাবে নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে যে বছরের শেষে দিল্লিতে সাংহাই রাষ্ট্রগোষ্ঠীর (এসসিও) রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠকে অন্য সদস্য দেশের পাশাপাশি পাকিস্তানকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ইসলামাবাদের নাম না করে রবীশ বলেন, ‘‘এটাই প্রচলিত নিয়ম যে এসসিও-র এই সম্মেলনে আয়োজক দেশ আটটি সদস্য দেশ এবং চারটি পর্যবেক্ষক দেশকে আমন্ত্রণ করে থাকে। সেই অনুযায়ী সবাইকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে।’’ তবে সেইসঙ্গে এ কথাও বলা হচ্ছে যে এখনও অন্তত দশ মাস বাকি ওই বৈঠকের। ভারত-পাক জল কোন দিকে গড়াবে তা আদৌ স্পষ্ট নয়। ফলে বিষয়টি নিয়ে এখনই বাড়তি আলোচনা করতে চায় না সাউথ ব্লক।