একটি বুলেটও খরচ হয়নি, স্বস্তিতে সরকার

Biswas Riya

কড়া রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যে কাশ্মীরে পালিত হল ঈদ।কিন্তু শুধু পালিতই হল, ছিল না উৎসব আনন্দের কোন লেশ।শ্রীনগরের প্রধান মসজিদটি ছাড়া অন্য মসজিদগুলিতে আজ সকালে ইদের নমাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ইদগা পরিষ্কার করে জমায়েতের বন্দোবস্তও করেছিল প্রশাসন। ১৪৪ ধারার মধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ সেখানে নমাজ পড়ে আসেন। জওয়ানরা স্বাগত জানিয়েছে নমাজিদের।কিন্তু নমাজিদের অস্বস্তিকর অভিব্যাক্তি চোখে পড়েছে।

 

নমাজের পর কোন কোন জায়গায় বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে, কোন কোন জায়গায় সেনাদের লক্ষ্য করে পাথরও ছোঁড়া হয়েছে। কিন্তু সেসব সামলাতে একটি বুলেটও খরচ করতে হয়নি।কাঁদানে গ্যাসের সেল ও ছররা বন্দুকেই কাজ দিয়েছে।শৌরা এলাকায় কয়েকশো মহিলা ভারত-বিরোধী স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান। সেখানে ফেস্টুন হাতে কিছু শিশু-কিশোরকেও দেখা যায়। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রোহিত কানসালের কথায়, ‘‘এ তো কাশ্মীরে নতুন নয়!’’। ৩৭০ ধারা উচ্ছেদের আগের থেকে কাশ্মীরিদের ঘরবন্দি করে কার্যত বিক্ষোভ এড়ানো গেছে।রসদ সংগ্রহেই ব্যাস্ত থাকছে তাঁরা।

 

রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বলেন  ‘‘রাহুল গাঁধীকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বিমান পাঠাব, দেখে যান কাশ্মীরের পরিস্থিতি।’’ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও আজ কপ্টার থেকে নজর রাখলেন উপত্যকার নানা এলাকায়। মাটিতে নেমে স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন।

 

নামাজের সময় পেরতেই আবারও কঠোর হয়েছে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা।ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন এখনো।টেলিফোন বুথের সামনে লম্বা লাইন। দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে  রাখা হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়। সরকারি অতিথি ভবন ‘হরি নিবাস’-এই রাখা হয়েছে ওমরকে। আর কয়েক কিলোমিটার দূরে চশমে শাহির অতিথি নিবাসে মেহবুবাকে। সরকারি মুখপাত্র জানান, ওমর ও মেহবুবার কাছে দু’জন মৌলবি পাঠানো হয়েছিল নমাজ পড়াতে।

 

সকলেই আশায় আছে কবে ফিরবে শান্তি ।

 


Find Out More:

Related Articles: