সোনিয়ার প্রত্যাবর্তন

Biswas Riya

দায়িত্ব ছাড়ার সময় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন দলের নেতৃত্বে নতুন মুখ আনার কথা।এমন ঘোষণার ফলে অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছিলেন প্রবীণরা।কিন্তু পুনরায় সোনিয়া গান্ধী ব্যাট ধরায় স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা।তাঁরা মনে করেন সোনিয়া গান্ধী খাতায় কলমে অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হলেও তিনি যতদিন আছেন ততদিন নিশ্চিন্ত।খুব তাড়াতাড়ি নেতৃত্বে রদ বদল হবে না।

খুশি বিজেপি নেতৃত্বও। ‘গাঁধী-পরিবারের বাইরে কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই’ বলে এত দিন বিজেপি নেতাদের অভিযোগকেই আরও পোক্ত করেছে রাহুলের পরে সনিয়ার প্রত্যাবর্তন। আজ তাই বিজেপি নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘মা-ছেলের গোলামি করা থেকে কি কংগ্রেসের নেতাদের আজাদি মিলবে না?’’

 

শনিবার রাতে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে পি চিদম্বরম বলেন সবাই রাহুলকে চাইলেও যেহেতু তিনি নিজ সিদ্ধান্তে অনড় কাজেই ম্যাডামকেই দায়িত্ব নিতে হবে। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা বলেন, এটা ঠিক নয়। কারণ রাহুলই বলেছেন, গাঁধী পরিবারের কাউকে যেন সভাপতি না-করা হয়। কিন্তু একই সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা তাঁর মাকে দেখিয়ে যোগ করেন, ‘‘উনি যদি রাজি হন, তা হলে কার কী করার রয়েছে!’’

২০১৭-র ডিসেম্বরে ছেলের হাতে দলের দায়িত্ব দিয়ে সনিয়া বলেছিলেন, তিনি এখন সিনেমা দেখতে চান, বই পড়তে চান। ইন্দিরা-রাজীবের চিঠিপত্র সংরক্ষণ করতে চান। কিন্তু দলের নেতা-নেত্রীদের কাতর আবেদনে অরাজি হওয়া তাঁর পক্ষেও কঠিন ছিল। আজ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহও বলেছেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই সেরা সিদ্ধান্ত। ওঁর অভিজ্ঞতা ও বোধ আমাদের পথনির্দেশে সাহায্য করবে।’’

এমতও সময়ে বিজেপি আসরে নেমে পড়েছে। আক্রমণের কোন সুযোগই ছাড়ছেনা। তাদের মুখপাত্র সম্বিত পাত্রর কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেসে মিউজিকাল চেয়ার চলছে।’’ শিবরাজ সিংহ চৌহানের মন্তব্য, ‘‘কংগ্রেস শিক্ষা নিতে রাজি নয়। দেখে অবাক লাগে, এখনও ওয়ার্কিং কমিটি সনিয়া-রাহুলকেই নেতৃত্বে চাইছে।’’  কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির যুক্তি, ‘‘কংগ্রেস পুনর্গঠন করতে সনিয়া গাঁধীর কাছে ফিরে যাওয়ার বিকল্প সব সময়েই ছিল। যখন পরিস্থিতি কঠিন হয়, তখন মজবুত নেতৃত্ব প্রয়োজন, যা দলকে একজোট রাখবে।’’

 

 


Find Out More:

Related Articles: