কুলভূষণকে দেশে ফেরাতে তৎপর সরকার
কুলভূষণ যাদবকে অক্ষত ও নিরাপদ অবস্থায় দেশে ফেরানোর চেষ্টায় কোন ত্রুটি থাকবেনা বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।বৃহস্পতিবার লোকসভায় বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা ফের পাকিস্তানের কাছে কুলভূষণ যাদবের নিঃশর্ত মুক্তি ও ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের দাবি জানাচ্ছি। আবারও বলছি, অবৈধ ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কুলভূষণকে। ওই ঘটনা যে শুধুই ভারতকে অবাক করেছে, তাই নয়, যাঁরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করেন, তাঁদের সকলেই অবাক হয়েছেন। এখনই কূলভূষণকে ফেরত দিক পাকিস্তান।”
তিনি আরও বলেন, “কুলভূষণের সঙ্গে যাতে পাকিস্তানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসাররা যোগাযোগ করতে পারেন, যোগাযোগ রেখে চলতে পারেন, ইসলামাবাদকে সেটাও সুনিশ্চিত করতে হবে। কারণ আন্তর্জাতিক আদালত সাফ জানিয়েছে, কুলভূষণ চাইলেই কনস্যুলার অ্যাকসেস পাবেন। ভারতীয় হাইকমিশনের আধিকারিকরা কুলভূষণের সঙ্গে দ্রুত দেখা করার আবেদন জানাবেন। উনি যে সুস্থ ও নিরাপদ আছেন আমরা সেটা দেখতে চাই।”
তিনি আরও বলেছেন , ‘‘কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করার ব্যাপারে দৃষ্টান্তমূলক সাহস দেখিয়েছে কুলভূষণের পরিবার। সরকার দেশবাসীকে স্পষ্ট জানাতে চায়, কুলভূষণের নিরাপত্তা নিয়ে সরকার চিন্তিত। পাকিস্তানের জেলে তাঁর ভাল থাকা সুপনিশ্চিত করতে ও তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে ভারত সরকার।’’
অপরদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বুধবার রাতে টুইট করেন, ‘‘আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেনি, ছেড়ে দিতে বা ভারতের হাতে তুলে দিতেও বলেনি কুলভূষণ যাদবকে। তাই এই রায়ের আমরা প্রশংসা করছি।’’
আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের আইনজীবী হরিশ সালভে বলেছেন, “ভারতের জয়ে আমি খুশি। পাকিস্তানের সংবিধান মেনে কুলভূষণের ন্যায্য বিচার করতে বলেছে আন্তর্জাতিক আদালত। পাকিস্তান যদি আবার সামরিক আদালতেই ফিরে যায়, তা হলে কিন্তু সেটা চরম বেআইনি কাজ হবে। আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করা হবে। পাকিস্তানের দিকে আমাদের নজর রইল। তারা আবার যদি বিচারের নামে প্রহসন করে, তা হলে আমরা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে পাকিস্তানের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর দাবি জানাব। আশা করব পাকিস্তান সেই ভুল করবে না।”সব মিলিয়ে ভারত পাক চাপানউতোর তুঙ্গে।