নরেন্দ্র মোদীর ‘অন্ধ সমর্থক’ টুইটে মন খুলে কুর্নিশ জানালেন মোদীর এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় শত্রু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নেটমাধ্যমে প্রকাশ্যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ‘আহত বাঘিনী’র সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। একই সঙ্গে এও স্বীকার করলেন, ‘খলনায়ক হতে গেলে পরাক্রমী রাবণের মতো হন। ঠিক যেমন মমতা দিদি।’ তার পরেই তাঁর তীব্র ভর্ৎসনা, ‘গোগো’র মতো ভীরু রাহুল গাঁধিকে তিনি ‘খলনায়ক’ মানতেও নারাজ। কঙ্গনা হঠাৎ কেন এত ভূয়সী প্রশংসা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? তাঁর দাবি, বাংলায় বিজেপি-র পরাজয় বিশ্লেষণ করতে গিয়েই তিনি প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর।
প্রসঙ্গত, রবিবার ভোটগণনা শুরু হতে হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন, যদিও শেষধাপে জিতবেন তিনিই এমনটাই বার্তা দিয়ে এসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দিনের শেষে যদিও নন্দীগ্রামে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূল জিতল বিপুল আসনে। ২৯২ আসনের মধ্যে ২১৩টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। ভোটের ট্রেন্ড প্রকাশিত হতেই রাজ্যের একাধিক কেন্দ্র থেকে কালীঘাট সর্বত্রই সবুজ আবির খেলায় মেতেছে ঘাসফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা। যদিও একেবারে শেষ লগ্নে দেখা যায় ১৯৫৩ ভোটে শুভেন্দু অধিকারির কাছে পরাজিত হয়েছেন মমতা। অন্যদিকে, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ত্যাগের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। প্রাক্তন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee), প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal), বৈশালী ডালমিয়াদের (Baishali Dalmiya) দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ চার্টার্ড বিমান পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কিন্তু ঘটনা হল, গতবারের জেতা আসনে টিকিট পেয়েও এবার জিততে পারেননি তাঁরা। হাওড়ার শিবপুর আসনে হেরে গিয়েছেন আর এক দলত্যাগী নেতা রথীন চক্রবর্তীও। এদিন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, 'হতে পারে মানুষ এটা ভালোভাবে নেননি। বিজেপির জেতার সম্ভাবনা ছিল, তাই হয়তো এসেছিলেন। সেকারণে মানুষ বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। বাংলায় রাজনীতি এটাও শিক্ষা হয়ে থাকল।'