আবার মিল্লি আল-আমীন কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় !
দ্বিতীয় বার পদত্যাগ পত্র পাঠালেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় । মিল্লি আল-আমীন কলেজে আর তিনি থাকতে চান না বলে পদত্যাগ পত্র শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন কলকাতার একমাত্র সংখ্যালঘু মহিলা কলেজ আল-আমীন মিল্লি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ।বৃহস্পতিবার ই-মেল মারফত পাঠিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ই-মেলে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন তিনি৷
বৈশাখী অভিযোগ, কলেজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একাংশ তাঁর কাজে সহযোগিতা করছেন না। তাঁদের উদ্দেশে অভিযোগ তুলে বৈশাখী বলেছেন, তাঁরা হয়তো চাইছেন না কলেজটা ঠিকঠাক চলুক। তিনি রয়েছেন বলেই হয়তো তাঁরা অসহযোগিতা করছেন। ফলে সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছে তাঁর। এই সব সমস্যার কথা বারবার তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বৈশাখী৷ তার বক্তব্য, সব কথা জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় বাধ্য হয়েই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন৷
গত অগাস্ট মাসের ৭ তারিখও সাংবাদিক সম্মেলন করে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বৈশাখী৷ কিন্তু পরের দিনই তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন যে শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে ইস্তফা দিতে বারণ করেছিলেন৷ ৮ অগাস্ট বৈশাখী বলেছিলেন, “সকালে পার্থবাবুকে ফোন করেছিলাম। উনি বলেছেন, আবেগের বশে এমন সিদ্ধান্ত নিও না। উনি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। উনি বলেছেন, দোষীরা শাস্তি পাবেই। আমায় ইস্তফার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অনুরোধ করেছেন। আমি বললাম, আমার কথায় আঘাত পেয়ে থাকলে খুবই লজ্জিত। আসলে ওঁর উপর তো কোনও রাগ নেই”।
এবার কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ মিল্লি আল আমীন কলেজ থেকে পদত্যাগ করেন কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে । কারণ বিগত কয়েক বছর ধরে ওই কলেজের অচলাবস্থার নেপথ্যে অনেকটাই ভূমিকা রয়েছে বৈশাখীর বলে অভিযোগ ।