ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দু বছরের জন্য সাসপেন্ড করল বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি । তিনি আবার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কও । সম্প্রতি তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা বেতন ও পারিশ্রমিক সহ ১১ দফা দাবি তুলে ধর্মঘট করেন।
কলকাতায় ইডেনে প্রথমবার বাংলাদেশ টেস্ট খেলার আগে এই ঘটনার তীব্র চাঞ্চল্য়। ছড়ায় ক্রিকেট মহলে। পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ধর্মঘটি ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠকের পর সব দাবি মেনে নেয়। এই ধর্মঘটের নেতা ছিলেন সাকিব। কিন্তু বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, ধর্মঘট ডাকার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। বাংলাদেশকে ছোট করার চেষ্টা হয়েছে। এরই মাঝে বিদ্রোহী নেতা সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে আইসিসি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে তদন্তে নামে।
এতে উঠে এসেছে, জুয়াড়িদের সঙ্গে কথা বললেও সাকিব সরাসরি জুয়োতে অংশ নেননি। আইসিসি জানায়, সাকিব ও জুয়াড়িদের ফোনে আড়ি পেতে সব পরিষ্কার হয়েছে। সাকিব জুয়াড়িদের অফার ফিরিয়ে দেন । তবে তিনি আইসিসি’র কাছে সব গোপন করেন। জানা গিয়েছে, মোট তিনবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে তা আইসিসি-কে না জানানোয় তার বিরুদ্ধে দু বছরের নিষেধাজ্ঞার মতো শাস্তির ব্যবস্থা নিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৮ সালে ঢাকায় ত্রিদেশীয় সিরিজ ও আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। তবে এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন সাকিব। আপিলে তার বক্তব্য যদি আইসিসি সন্তুষ্ঠ হয় তাহলে তার এই শাস্তির মেয়াদ এক বছর কমতে পারে। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই আসন্ন ভারত সফর বা ইডেনের. ঐতিহাসিক প্রথম টেস্ট খেলতে পারবেন না বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার ।
প্রশ্ন উঠেছে , যে ক্রিকেটার জুয়াড়িদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে সততার পরিচয় দিয়েছেন বলে স্বয়ং আইসিসি স্বীকার করছে তাহলে কোন যুক্তিতে আইসিসি তাকে শাস্তি দিল । কারণ যেহেতু আইসিসি শাস্তি দিয়েছে সাকিব সেই কারণে আরও অনেক ক্রিকেটার শাস্তি পাওয়ার যোগ্য বলে ওয়াকিবহাল মনে করছে । নাকি হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে সামিল হওয়ার জন্যই বিশ্বের অন্যতম প্রথম সারির অলরাউন্ডারকে শাস্তি পেতে হচ্ছে এ প্রশ্ন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জোরাল আলোচনায় উঠে এসেছে ।